দেশের ১২টি অঞ্চলকে বার্ড-ফ্লু আক্রান্ত এলাকা বলে চিহ্নিত করল কেন্দ্রীয় সরকার, জারি হল কড়া নির্দেশিকা

আমাদের ভারত, ৭ জানুয়ারি:দেশের বারোটি এলাকাকে বার্ড ফ্লু আক্রান্ত অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করল কেন্দ্রীয় সরকার। একই সঙ্গে জারি করলে নির্দেশিকাও। কেরল, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ সহ বারোটি বার্ড-ফ্লু আক্রান্ত অঞ্চলকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সরকারের তরফে নির্দেশ জারি করা নির্দেশিকায় কিভাবে পরিযায়ী পাখি হাঁস মুরগির মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা বলা হয়েছে। নির্দেশিকাতে বার্ড ফ্লু নিয়ে যে চিন্তিত রয়েছে সরকার তাও স্পষ্ট করা হয়েছে। ওই নির্দেশিকায় কেরলের পর হরিয়ানার পাঁচকুল্লা অঞ্চলেও উচ্চ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরেও সংক্রমনের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সংক্রমণ ঠেকাতে পোল্ট্রি সহ অন্য খামারগুলোতে নির্দেশিকা দিয়ে কঠোর নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়েছে। এই রোগ যাতে কোনভাবে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে। এই ভাইরাস সরাসরি পশুর শরীর থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে এমন উদাহরন এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু সরকারি নির্দেশিকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এর থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব বলেও জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে প্যাকেজিং ও রান্নার ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম যদি মেনে চলা যায় তাহলে এই রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

কেরলের কোয়েন্টামে এক হাজার হাঁসের বাচ্চা মারা গেছে। মধ্যপ্রদেশের দশটি জেলায় ৫০০-উপর কাকের মৃত্যু হয়েছে। হিমাচলের মৃত্যু হয়েছে এক হাজারের বেশি পরিযায়ী পাখির। কেরল থেকে পোল্ট্রিজাত সামগ্রী আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে সমস্ত জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্যের সর্তকতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় মৎস্য ও প্রাণী কল্যাণ দপ্তর। দিল্লিতে বিশেষ কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। কেরলের বিজয়ন সরকার বার্ডফ্লুর জন‌্য রাজ্যের বিপর্যয় ঘোষণা করে দুই জেলায় সর্তকতা জারি করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন বার্ড ফ্লু বা ইভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা পাখিদের এক বিশেষ ধরনের জ্বর। যার জন্য দায়ী h5m1 ভাইরাস। বার্ড ফ্লু রোগে আক্রান্ত হাঁস মুরগির মাংস ও ডিম থেকে মানুষের শরীরে এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। পরিযায়ী পাখিদের মাধ্যমে এই রোগ খুব দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে করোনা আবহে বার্ড ফ্লু নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *