আমাদের ভারত, ৫ এপ্রিল: ভারত বিরোধী কোনো কাজে শ্রীলঙ্কার মাটিকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এমনটাই কথা দিল শ্রীলঙ্কা। ভারতের নিকটস্থ প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমার দিশানায়েক শনিবার এই আশ্বাস দিয়েছেন মোদীকে। তিনি বলেছেন, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো ক্ষতিকর শক্তিকে দ্বীপ রাষ্ট্রের জমি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির ওপর চিনের প্রত্যক্ষ অর্থনৈতিক আগ্রাসন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে নয়া দিল্লির কাছে। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে চিন, পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর তৈরি করে বাণিজ্য শক্তি বৃদ্ধির নামে দেশের উত্তরাঞ্চলকে ঘিরে ধরতে চেষ্টা চালাচ্ছে বেজিং প্রশাসন। অন্যদিকে বাংলাদেশের সম্প্রতি রাজনৈতিক পালা বদলের পর বর্তমান তদারকি সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস চিনকে বিমান ঘাঁটি তৈরীর খোলাখুলি প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে।
একাধিক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞের ধারণা, বাংলাদেশে যে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল তা বেইজিং- এর অর্থ মদতে এবং চরের সাহায্যে। এছাড়াও শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধের সময় প্রায় দেউলিয়া হয়ে যাওয়া কলম্বোর পাশে দাঁড়িয়েছিল চিন। সেই চিনের বোঝা মেটানো প্রায় দুঃসাধ্য শ্রীলঙ্কার পক্ষে। সেই কারণে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের পরে শ্রীলঙ্কার আস্থা হারালে ভারতকে তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলতে পারবে। কিন্তু ড্রাগন দেশের সেই চেষ্টা যাতে পূর্ণ না হয় সেই জন্যই থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা সফর ছিল মোদীর বলে মনে করছেন তাঁরা।
শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক উন্নয়নে চিনের বিনিয়োগ এবং পরিকাঠামো প্রকল্প দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। প্রথম ভারত- শ্রীলঙ্কা প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় উল্লেখযোগ্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ২০ শীর্ষ নেতার আলোচনা শেষেই চুক্তি গুলি স্বাক্ষরিত হয়। প্রতিরক্ষা চুক্তি ছাড়াও দুই দেশ ত্রিঙ্কুমালিকে এনার্জি হাব উন্নীত করার বিষয়ে সহমত হয়েছে। শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলের প্রতিবেশী দেশ বিপুল পরিমাণে অর্থ সাহায্য করতে রাজি হয়েছে।