Dilip Ghosh, BJP, মানুষের সঙ্গে আই কন্টাক্ট হয়ে গেছে, বিজেপি জিতবে, জয়ের সঙ্গে বাড়বে ব্যক্তিগত মার্জিনও দাবি আত্মবিশ্বাসী দিলীপ ঘোষের

আমাদের ভারত, ১১ মে: তাঁর কেন্দ্র বদলে গেলেও জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী দিলীপ ঘোষ। মেদিনীপুরে জয় পেয়েছিলেন বিরাট ব্যবধানে। এবার তার মাঠ বর্ধমান- দুর্গাপুর। ২০১৯- এ বিজেপির জয়ের মার্জিন ছিল অনেকটা কম। তাহলে কি এবার কঠিন লড়াই? কী বলছেন দিলীপ ঘোষ?

দিলীপবাবু বলেছেন, এখানকার মানুষের সঙ্গে তাঁর আই কন্টাক্ট হয়ে গিয়েছে। মানুষ জানে বিজেপি জিতবে। তাঁর আরো দাবি, তিনি ব্যক্তিগত মার্জিনও বাড়াবেন দলকে জয় এনে দেবেন। তিনি বলেন, ৪ জুন তাকে আবার চেনা মুডেই দেখা যাবে। তাঁর কথায়, শুধু কত ভোটে জিতব সেটা গুনে নিন। নো টেনশন অনলি অ্যাটেনশন।”

এদিন বামেদের পথসভা আছে বলে বিজেপিকে মিছিল করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, “চামচিকে দিয়ে হাতিকে আটকানোর চেষ্টা চলছে”।

গতকাল দেব এই অঞ্চলেই বলে যায় যা জনসমাগম দেখছি দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুরে ফেরত যাবে। তার পাল্টায় দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি মেদিনীপুরের ছেলে, আমি তো মেদিনীপুরে যাবই ও নিজে কোথায় যাবে সেটা ঠিক করুক। পাঁচ বছরে একবারও পার্লামেন্টে যাইনি।”

শেষ বেলার প্রচারে নিজের মেজাজেই দিলীপ ঘোষ তোপ দাগেন পুলিশের বিরুদ্ধেও। সন্দেশখালি ইস্যুতেও তিনি বলেন, পোষা কুকুরের মত তাবেদারি করে পুলিশ। এর বিরুদ্ধে এফআইআর, ওর বিরুদ্ধে কেস, এর বেশি কিছু করতে পারে না পুলিশ। এতদিন পুলিশের নাকের ডগা থেকে মহিলাদের পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে ফুর্তি করা হলো পুলিশ কেন এফআইআর করেনি? পুলিশ ওদের চামচা, বেলচা করত। শাহজাহানের জুতো বয়ে নিয়ে যেতো।” দিলীপ ঘোষের দাবি, বর্ধমান- দুর্গাপুরেও বহু দাগী অপরাধী রয়েছে তারা জামিন নেয়নি তাও পুলিশ ওদের গায়ে হাত দেয় না।

গত দেড় মাস ধরে প্রাতঃভ্রমণ দিয়ে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছে গেছেন দিলীপ ঘোষ। দলীয় কর্মীদের নিয়ে কখনো চা খেয়েছেন, কখনো হাওয়া খাওয়ার জন্য হাতপাখা দিয়ে প্রচার সেরেছেন। কখনো রুল, কখনো ত্রিশূল তার প্রচারের হাতিয়ার হয়েছে। গরম গরম মেজাজে প্রচার চালিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। ২৪ এপ্রিল মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি। ১৩মে তার কেন্দ্রে ভোট। এই দেড় মাসের পরিশ্রমের ফল দেখতে অপেক্ষা করতে হবে ৪ জুন পর্যন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *