অশোক সেনগুপ্ত, আমাদের ভারত, ৬ মে:
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের জমি বিবাদ অব্যাহত। বহুদিন থেকেই সংবাদের শিরোনামে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অমর্ত্য সেনের জটিলতার বিষয়টি। বহুবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নোবেলজয়ীর পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার তোপও দাগেন তিনি। তবে এবার আর কোনো মন্তব্য নয়, সরাসরি হুঁশিয়ারি শোনা গেল তৃণমূল নেত্রীর গলায়। আর এ নিয়ে সরব হয়েছেন নেটনাগরিকরা।
শুক্রবার তিনি সংবাদমাধ্যমে ফের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “অমর্ত্য সেনের বাড়িতে হাত দিলে আমাকে তো চেনে না…’। শনিবার পর্যন্ত সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে প্রচুর মন্তব্য নেটনাগরিকদের। প্রায় সকলেরই তোপ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল লিখেছেন, “বড় বড় ভাষণ না দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাধান করাই বুদ্ধিমানের কাজ।”
মানিক হালদার লিখেছেন, “সময় অনেক গড়িয়েছে। মানুষের চিন্তা ভাবনা পাল্টেছে। মনে হয় না আগের মতন জন সমর্থন পাওয়া যাবে। বর্তমান ছবিতে অত্যন্ত ম্লান, বিদঘুটে।” রামমোহন চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, “সত্যমেব জয়তে নানৃতম্”।
তপন কুমার পাল লিখেছেন, “মাথা খারাপের ঠিক আগের মুহূর্ত।” আশিস সরকার লিখেছেন, “বিশ্বভারতী আইনের রাস্তা নিয়ে তার জায়গা ফিরিয়ে নেবে। বিশ্বভারতী তো গুন্ডা মাস্তানদের আখড়া নয়। আইন উলঙ্গন করে যা ইচ্ছা করা তাদের কাজ নয়। আর যাই হোক মানুষ এটা বোঝে। বিশ্বভারতী হাঁটছে আইনের রাস্তায়, বাকিরা সব হাঁটছে মস্তানির রাস্তায়।”
মিতা সেন লিখেছেন, “আপনাকে সবাই চেনে, আপনি কী মানুষ?” জয়শংকর দেবনাথ লিখেছেন, “কেনো, ওখানে কি টাকার পাহাড় আছে?” চন্দ্রনাথ চ্যাটার্জি লিখেছেন, “ঠিক যেনো বস্তির ঝগড়াটেদের ভাষা!”
সমস্যা এতদূর এগোত না। উনি ( মমতা ব্যানার্জি ) সবসময়ই মেলার পাঁপড় ভাজা দোকানির মতোন গিযে জুটেন। সমস্যা ওখানেই আর ওঁর প্রতিপক্ষ BJP ও চলেন সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে।। আবার আমর্ত্য বাবুর সাথে মমতা ব্যানার্জির প্রতিপক্ষ BJP / মোদি সম্পর্ক ভালো নয় । এইখানে ই জট । বর্তমান উপাচার্য BJP ঘনিষ্ট ও অশোভন আচরণ করেছেন আমর্ত্য বাবুর সাথে।
প্রথমেই বলি উপাচার্যের কিছু কাজ যেমন বসন্ত উৎসবের নামে বেলেল্লা পনা বন্ধ করা সম্পূর্ণ সমর্থন করি। তেমনই ছাত্র ছাত্রী দের প্রতি অতি কঠোর হওয়া বা অধ্যাপকদের সাথে দুর্ব্যবহার সমর্থনযোগ্য নয়, মনে রাখতে হবে তিনি ক্যাম্পাসে সকলের অভিভাবক, কোন সামরিক শাসক নন।
এই জমি বিতর্ক নিয়ে অহেতুক জল ঘোলা না করে আদালতের রায় নিয়ে সব পক্ষের সেটা মেনে চলা উচিত।
পরিশেষে বলি ২০১১ সালে আমাদের এই মুখ্যমন্ত্রী কে সত্যিই পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ মানুষ চিনতেন না – এই বারো বছরে বিলক্ষণ চিনে গেছেন।
অমর্ত্য সেনের মতো ব্যাক্তিকে নিয়ে রাজনীতি না করে বিষয়টির যুক্তিপূর্ণ ও সঠিক সমাধান করা উচিত।
বিশ্বভারতী যেটা করছে সেটা কি আইনবিরুদ্ধ? যদি না হয় তবে এটা নিয়ে এত হৈ চৈ কেন?