প্রদীপ দাস, আমাদের ভারত, ১৫ মার্চ: ভোটের আগে বিজেপি কর্মীদের মনোবল কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিলেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জানিয়ে দিলেন, রাজনীতির ময়দানে তিনি এখন যথেষ্ট কৌশলী। যখন যেমন দরকার তখন তেমন কৌশল রচনা করেন। কারণ তিনি জঙ্গলমহলে ছেলে, তসি লড়াই করতে তিনি কখনো পিছপা হন না। লাড়াই করে এগিয়ে যাওয়া তাঁর রক্তে। জঙ্গলমহলে তিনি লড়াই করেই বড় হয়েছেন।
আজ বেহালায় চায় পে চর্চা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে তিনি প্রাতঃভ্রমণ কারীদের সঙ্গে সম্পর্ক করেন। প্রাতঃভ্রমণ কারীরাও তাঁর কাছে অনেক অভাব অভিযোগ জানান এবং বিজেপির সম্ভাবনার কথাও অনেকে বলেন। প্রাতঃভ্রমণ কারীদের আবদারে তাদের সঙ্গে ছবিও তোলেন। প্রাতঃভ্রমণকারীদের উপস্থিতিতে গত শুক্রবার হাওড়া চায় পে চর্চা অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। সেদিন হাওড়ায় দিলীপ ঘোষের কর্মসূচি উপলক্ষে এলাকার সমস্ত চায়ের দোকান বন্ধ রাখা হয়েছিল। গোটা এলাকা তৃণমূলের পতাকা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। বিজেপির অভিযোগ ছিল স্থানীয় কাউন্সিলরের উদ্যোগেই এসব কাণ্ড হয়েছে।
সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে আজ দিলীপ ঘোষ বলেন, আমি জানি কোন জঙ্গলে কিভাবে ঢুকতে হয়। কারণ আমি জঙ্গলমহলের ছেলে। বাঘ, হিংস্র জন্তুর সঙ্গে লড়াই করেছি। তাই, ওইসব নেতাদের পাত্তা দিই না। তাঁর এই কথায় হাততালির ঝড় বয়ে যায়। এর পরেই পুলিশে প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ওরা কেবল তৃণমূলের চামচাগিরি করে। তৃণমূল নেতাদের কাজ করে দেয়, ঘর মুছে দেয়, জল তুলে দেয়, কাপড় কেচে দেয়। এই সব পুলিশকে আমি ভয় করি না। এদের বলে রেখেছি, এক বছর যা করার করে নিন।
ছবি: প্রাতঃভ্রমণকারীদের সঙ্গে দিলীপ ঘোষ।
তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। মানুষ এখানে নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারছেন না। দুর্নীতি, হিংসা থেকে মানুষ মুক্তি চাইছে। এখানে সামাজিক এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতা নেই। তাঁর প্রশ্ন, মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হবে না, ইলেকশনে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না, এটা কি ধরনের গণতন্ত্র? তাই পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব নিয়েছে বিজেপি।
পুরোসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক বছর আগে এই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তৃণমূল তা করেনি কারণ তারা জানত বিজেপি জিতে যাবে। যাদের মানুষের উপর বিশ্বাস নেই তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই।