অমরজিৎ দে , ঝাড়গ্রাম, ৯ মার্চ: তাঁর দিন শুরু হয় গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ করে এবং তুলসী প্রণাম ও সূর্য প্রণাম করে। কারণ তিনি ব্রাহ্মণ সন্তান। সনাতনঐতিহ্যকে মেনে চলাই তাঁর ধর্ম। আজ দোল উৎসবে গোপীবল্লভপুর গুপ্ত বৃন্দাবনের রাধা গোবিন্দ জিউর মন্দির এসে একথা বললেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
গোপীবল্লভপুর যাকে গুপ্ত বৃন্দাবন বলে আমরা জানি। সেই গোপীবল্লভপুরের প্রতিষ্ঠাতা নব চৈতন্য অনিরুদ্ধ অবতার ভক্ত ভাবাবেশাবতার ও শ্রীপাট গোপীবল্লভপুরের প্রতিষ্ঠাতা এবং চৈতন্য যুগের অন্যতম সমাজ সংস্কারক শ্রীশ্রী শ্যামানন্দী আদ্য গাদীশ্বর মহান্ত শ্রীল রসিকানন্দ প্রভুর তিরোধান উপলক্ষে ১৫ দিনের মেলা চলছে। শুভেন্দু অধিকারী সেখানে গৌর–গোপালের অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন। প্রসাদ গ্রহণ করেন এবং বিগ্রহের সামনে ভক্তি ভরে আরতী করেন। অনুষ্ঠান শেষে তিনি গীতা তুলে দেন ভক্তদের হাতে। তিনি বলেন, গীতা যে আশ্রয় করবে সে সঠিক রাস্তায় থাকবে। গীতা হচ্ছে আমাদের চলার পথ।
মন্দিরে আগত ভক্তদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রী হিসেবে আমার ধর্ম হচ্ছে মানব ধর্ম। সবাইকে সমান চোখে দেখা এই আমার কাজ কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি ব্রাহ্মণের ছেলে। সকালে গায়ত্রী মন্ত্র জপ, তুলসী প্রণাম ও সূর্য প্রণাম করে আমার দিন শুরু হয়। কারণ আমি ব্রাহ্মণ পরিবারের সদস্য, তাই সনাতন ঐতিহ্যকে মেনে চলি। তিনি বলেন, এই মঠের অধীনে প্রায় ৩৫০০ কেন্দ্র রয়েছে এবং তার মধ্যে এটি প্রধান কেন্দ্র। এই মন্দিরকে ধরে রাখাই আমাদের কর্তব্য এবং গর্বের। এখানে এলে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব দূর হয়ে যায়। এখানে যখন কীর্তন হয়, খোল বাজে, মৃদঙ্গ বাজে এবং করতালের আওয়াজ হয় তখন একটা আলাদা পরিবেশ তৈরি হয়। তাই এই মন্দিরের ভক্তদের সুবিধার জন্য মন্দিরে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য কি কি প্রয়োজন তা তিনি মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান এবং সাধ্যমত সাহায্য করার আশ্বাসও দেন।