সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ৩০ আগস্ট: সন্দেহের জেরে স্ত্রীকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল স্বামীর। আজ বাঁকুড়া জেলা আদালতের বিচারক এই যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা ঘোষণা করেন। এছাড়া পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাস জেলের নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ে নিহত বধূ ছায়া বাউরির দাদা কার্তিক বাউরি জানান, তার বোনকে যে নৃশংসভাবে মেরে ফেলা হয়েছে তাতে ফাঁসি কামনা করেছিলেন তিনি। তবে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে এতেও তারা খুশি।
বাঁকুড়া আদালতের সরকারি আইনজীবী অরুণ কুমার চ্যাটার্জি জানান, গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ শালতোড়া থানার বড়শাল গ্রামের বাসিন্দা জপহরি বাউরি তার স্ত্রী ছায়া বাউরিকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। মেজিয়ার কালিদাসপুরের বাসিন্দা ছায়া বাউরির সঙ্গে প্রায় ১৩ বছর আগে বিয়ে হয় জপহরির। সে প্রায়ই সন্দেহ করে স্ত্রীর ওপর অত্যাচার করত। জপহরি এবং ছায়ার দুই মেয়ে ও এক ছেলে। ঘটনার দিন কাঠ কাটতে যাওয়ার নাম করে বউ ছায়াকে নিয়ে স্থানীয় সাধুডাঙ্গার জঙ্গলে যায়। সেখানে জপহরি তার স্ত্রীকে কুড়ুল দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।স্ত্রীর মতো ছেলেমেয়েদেরও কাটবে বলে সেই রক্ত মাখা কুড়ুল নিয়ে বাড়ির দিকে এগোতে থাকে। গ্রামের লোকেরা তাকে ঘরে ঢুকিয়ে শেকল দিয়ে আটকে দেয়। ছায়ার বাপের বাড়ি কালিদাসপুরে এবং শালতোড়া থানায় খবর দেয়।পুলিশ এসে সেই দেহ উদ্ধার করে।
অন্যদিকে মৃত ছায়া বাউরির দাদা কার্তিক বাউড়ি বাঁকুড়া শালতোড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ জপহরিকে গ্রেপ্তার এবং কুড়ুল উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করে। জপহরির জবানবন্দিও নেওয়া হয়।শুক্রবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে বিচারক জপহরিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায় আরও ৬ মাস জেলের নির্দেশ দেন।