Siuri Hospital, সিউড়ি হাসপাতাল চত্বরে স্ত্রীর উপর আক্রমণ স্বামীর, অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দিল নিরাপত্তারক্ষীরা

আশিস মণ্ডল, সিউড়ি, ২০ মে: হাসপাতাল চত্বরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা। নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন মহিলা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বীরভূমের সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত মহিলার নাম পূর্ণিমা লোহার। বাড়ি বীরভূমের মহম্মদবাজারের কাপিষ্ঠা গ্রামে। স্বামী অমর কর্মকারের বাড়ি একই থানার কুলেড়া গ্রামে। বহুদিন ধরেই তাদের দাম্পত্য জীবনে অশান্তি চলছিল। বেশ কয়েক মাস আগে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে পূর্ণিমা কাপিষ্ঠা গ্রামে বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন।

মঙ্গলবার দুপুরে পূর্ণিমা তাঁর মাকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। সেই খবর পেয়ে আচমকাই হাসপাতালে হাজির হন অমর। এরপরেই আচমকা ধারালো অস্ত্র নিয়ে স্ত্রীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন অমর। তার গলায় ও বুকে একের পর এক আঘাত করতে থাকে। পূর্ণিমার চিৎকার শুনে ছুটে আসেন হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা। তারা সাহসিকতার সঙ্গে অমরকে ধরে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে জখম পূর্ণিমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে অমর কর্মকারকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাসপাতালে। আহত পূর্ণিমার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানাগেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে সিউড়ি থানার পুলিশ। হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী গদাধর মাহারা বলেন, “আমি আউটডোর ডিউটি করছিলাম। সেই সময় দেখলাম একটা লোক মহিলাকে ধরে টানছে। হাতে তার ধারাল অস্ত্র ছিল। সেই অস্ত্র দিয়ে মহিলার শরীরে আঘাত করছে। ছুটে গিয়ে তার ডান হাত চেপে ধরে অস্ত্র কেড়ে নিই। এরপর তার গলার গামছা পেঁচিয়ে টানতে টানতে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যাই। তবে ওদের পরিচয় প্রথমে জানতে পারিনি। পরে জানলাম ওরা স্বামী- স্ত্রী।”

হাসপাতাল সুপার প্রকাশ চন্দ্র বাগ বলেন, “নিরাপত্তারক্ষীরা তৎপরতার সঙ্গে মহিলাকে রক্ষা করেছে। এখন মহিলার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। আমরা আরও সিসিটিভির সংখ্যা বাড়াব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *