আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: দুটি পরপর কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ায় গৃহবধূকে খুন করা হয়েছে বলে শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ গৃহবধূর বাবার বাড়ির। এক গৃহবধূর মৃত্যুতে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে। ভগবানপুর থানার কাকরা গ্রামের মৃত গৃহবধূর নাম দিপালী দাস।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর থানার কাকরা গ্রামের গৃহবধূ দিপালী দাস (২৫)। গতকাল রাতে শ্বশুর বাড়িতে তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত মহিলার স্বামী কর্মসূত্রে মহারাষ্ট্রে থাকেন। তার ফোন পেয়ে গতকাল গভীর রাতে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে ছুটে যায় মৃতার বাবার বাড়ির লোকজন। গিয়ে দেখেন, মেঝেতে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে তাদের মেয়ে। মৃত গৃহবধূ বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। পরপর দুটি কন্যা সন্তান হওয়ার পর থেকেই সংসারে শুরু হয় গঞ্জনা। দুটি মেয়ে। একটি চার বছরের, অন্যটি মাত্র দুই বছরের। প্রতিনিয়ত শ্বশুর ও শাশুড়ি ডিভোর্সের জন্য চাপ দিত তাদের বৌমাকে। এই নিয়ে সংসারে গন্ডগোল প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা ছিল। গতকাল সন্ধ্যায় ওভাবেই ঝগড়াঝাঁটি, কথা কাটাকাটি হয় বৌমা ও শ্বশুর-শাশুড়ির মধ্যে। তারপরই গভীর রাতে মেরে ফেলা হয়েছে তাদের মেয়েকে। মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে বলে অভিযোগ মৃতার বাবার বাড়ির লোকেদের।
যদিও মেয়ের বাবার বাড়ির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মৃতার শাশুড়ি ও প্রতিবেশী দেওর। তাদের বক্তব্য দিপালী দাস আত্মহত্যা করেছে। শাশুড়ি শক্তিবালা দাস জানায়, রাতে খাবার পরে ঘরে শুয়ে পড়ে তাদের বৌমা এবং তারপরেই গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ে। পরে আওয়াজ পেয়ে তারা দরজা ভেঙ্গে মৃতদেহ বের করে নিয়ে আসে।
গৃহবধূর মৃত্যুর খবর পেয়ে আজ সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভগবানপুর থানার পুলিশ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। খুন না আত্মহত্যা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাশুড়ি সহ ছয়জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। শ্বশুর এখনো পলাতক।