আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ২১ ডিসেম্বর: কথায় আছে সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। তবে সেসব কথা এখন অতীত। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির সাথে সাথে দেশ বিদেশের বহু মানুষই আসছেন গঙ্গাসাগরে। আপনি চাইলে এখন দিনের দিন গঙ্গাসাগর থেকে ঘুরেও চলে আসতে পারেন। তবে শারীরিক অসুস্থতা কিম্বা বিপুল পরিমাণ তীর্থযাত্রীর ভিড় ঠেলে মকর সঙ্ক্রান্তি তিথিতে যদি সাগর প্রাঙ্গনে গিয়ে ডুব দিয়ে গঙ্গাস্নান না করতে পারেন তাহলে চিন্তা নেই। ডিজিটাল যুগে এবার গঙ্গা স্নানের পুণ্য পাবেন ঘরে বসেই। মাত্র এক ক্লিকেই গঙ্গাজল এসে পৌঁছে যাবে আপনার বাড়িতে। দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে এবার ই–স্নানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুধুমাত্র কুরিয়ার সার্ভিসের চার্জ দিলেই ঘরে বসে মিলবে গঙ্গাজল ও কপিলমুনির মন্দিরের সিঁদুর ও প্রসাদ।
প্রতি বছরই গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে কিছু নতুন নতুন পরিকল্পনা নিয়ে থাকে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসন। এবারও তার অন্যথা হয়নি। মেলায় তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি এবারের মেলাকে প্লাস্টিক মুক্ত মেলা হিসাবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি গঙ্গাসাগরে না গিয়েও এবার মানুষ যাতে ঘরে বসেই গঙ্গা স্নানের আনন্দ ও পুণ্য লাভ করতে পারেন সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই ই-স্নানের ব্যবস্থা করেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসন। শুক্রবার আলিপুরে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে এ বিষয়ে জানান দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন। বৈঠকে জেলাশাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের সভাধিপতি সামিমা শেখ ও অতিরিক্ত জেলাশাসক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপাররা।
গঙ্গাসাগরের এই জল ও প্রসাদ পাওয়ার জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসনের তৈরি নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে গিয়ে ই-স্নান লিঙ্কে ক্লিক করে ঠিকানার যাবতীয় নথি দিলেই কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে মিলবে এই জল। সুদৃশ্য পিতলের পাত্রে গঙ্গাজল ও গঙ্গাসাগর মেলা ২০২০ লেখা সুদৃশ্য ব্যাগে করেই এই জল পৌঁছে যাবে গ্রাহকদের হাতে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বেশ কয়েকটি কুরিয়ার কোম্পানির সাথে কথাও হয়েছে। তবে, ঠিক কত মানুষ এই পরিষেবা পাবেন তা সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত প্রশাসনের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে এই ই-স্নান এবার মানুষের মধ্যে যথেষ্ট সাড়া ফেলবে বলেই দাবি দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসনের।