আমাদের ভারত, ২৭ নভেম্বর: হিন্দুদের রক্ষা করতে হিন্দু রক্ষী দল গড়ার কথা ভেবেছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রণবানন্দ। বাংলায় আশ্রমের উদ্যোগে অনেক জায়গাতেই এমন বাহিনী গড়েও উঠেছিল বহুদিন আগে। এখন আবার তেমনই দল করতে উদ্যোগ নিল ভারত সেবাশ্রম সংঘ। মুর্শিদাবাদে কাজের গতি আনতে সমাজ মাধ্যমে রক্ষী নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিয়েছেন ভারত সেবাশ্রমের কার্তিক মহারাজ।
কাউকে আক্রমণ করার জন্য নয়, হিন্দু যুবকদের সুপথে চালিত করা এবং সমাজ থেকে জাত- পাতের সমস্যা দূর করার কাজ করতেই এই রক্ষী দল তৈরির ভাবনা বলে জানিয়েছেন কার্তিক মহারাজ। এর আগে হিন্দুদের হয়ে কথা বলার জন্য রাজ্য রাজনীতিতে পরিচিত হয়ে উঠেছেন কার্তিক মহারাজ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত লোকসভা নির্বাচনের সময় কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে রাজনীতি করা তথা বিজেপিকে সাহায্য করার অভিযোগ করেছিলেন। এরপর তাঁকে তথা সাধু সমাজকে অপমান করা হয়েছে অভিযোগে সরব হয়ে কার্তিক মহারাজ কলকাতায় বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের সাধু সন্ন্যাসীদের নিয়ে খালি পায়ে মিছিল করেছিলেন। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদেও তিনি কলকাতায় মিছিল করেছেন।
মুর্শিদাবাদ জেলায় ভারত সেবাশ্রমের একটি আশ্রম সামলান কার্তিক মহারাজ। ওই জেলার বিভিন্ন শহর ও গ্রামে রয়েছে ভারত সেবাশ্রম পরিচালিত বারোটি হিন্দু মিলন মন্দির। সব শাখা এবং মিলন মন্দির মিলিয়ে মুশিদাবাদ জেলার জন্য একটি কেন্দ্রীয় রক্ষী বাহিনী তৈরি করতে চান কার্তিক মহারাজ। এই দলের সদস্যদের আশ্রমের পক্ষ থেকে নানা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কার্তিক মহারাজ।
তাঁর কথায়, আমরা মূলত আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দেব। তার জন্য ক্যারাটে শেখানো হবে যুবকদের। পাশাপাশি লাঠি চালানো শেখা হবে। এটা যেমন আত্মবিশ্বাস বাড়ায় তেমনই অনেক সময় অন্যকে রক্ষা করতে পারে।
বাহিনীর কাজ সম্পর্কে জানাতে গিয়ে কার্তিক মহারাজ বলেন, “আমরা রক্ষী দলে আইনজীবী, লেখকদেরও রাখবো। নির্যাতিত হিন্দুদের রক্ষার জন্য আইনি লড়াই এবং লেখালেখি করা প্রয়োজন।” তাঁর কথায়, “উৎসবে, পার্বণে মদ্যপানের প্রবণতা বাড়ছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় আরো অনেক সমস্যা রয়েছে। এই সব থেকে সমাজকে রক্ষা করাই হবে রক্ষী বাহিনীর কাজ। যুব সমাজকে ধর্মীয় শিক্ষা সহ শরীর গঠনের পথে আনাই লক্ষ্য হবে এই উদ্যোগের। ভারত সেবাশ্রমের পক্ষে আগামী দিনে জেলায় জেলায় এমন বাহিনী তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এমনকি অনেক জায়গায় সেই কাজ শুরুও হয়েছে। তবে দলে সদস্য পেতে সমাজ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়ার বিষয়টি এবার প্রথম।
কার্তিক মহারাজের দাবি, বিজ্ঞাপনে দেওয়া ফোন নম্বরে অনেকেই যোগাযোগ করছেন। খুব তাড়াতাড়ি প্রথম দলটির প্রশিক্ষণ শুরু করা যাবে বলেও আশা করছেন তিনি।