আমাদের ভারত, ১৩ জুলাই: তৃণমূলের জন্য বোমা বাধার মতো সব পাপ কাজ করেন মুসলিম কর্মীরা, আর নিজেদের বুথে হেরে দলীয় পদ আলো করে বসে থাকেন হিন্দু নেতারা। এর মূল্যায়ন হওয়া প্রয়োজন। ২১ জুলাই- এর প্রস্তুতি সভায় শুক্রবার এমনই মন্তব্য করেছেন বীরভূমের সাঁইথিয়া ব্লকের তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ইউনুস। বলাই বাহুল্য তার এই মন্তব্যে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল। এমনকি তাকে দল থেকে সাসপেন্ড করার চিন্তাভাবনাও শুরু হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
শুক্রবার দলীয় বৈঠকে ইউনুস বলেন, জেলায় এমন কিছু নেতা আমরা দেখছি যাদের অবস্থা কিন্তু খুব একটা ভালো নয়। তারা জেলার বড় বড় পদে হয়তো বসে আছেন, কিন্তু তার বুথের রেজাল্টের অবস্থা খুব খারাপ। এগুলো ভাবতে হবে, এগুলোর মূল্যায়ন করতে হবে।
সংখ্যালঘু আর কী করবে? সংখ্যালঘু আর যাবেই বা কোথায়? কিন্তু সংখ্যাগুরু যারা বড় বড় পদ নিয়ে বসে আছেন তাদের আমাদের একটু চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিতে হবে যে আপনারা বুথেই জিততে পারছেন না, জেলায় আবার কী দায়িত্ব নেবেন?
তৃণমূল জেলা কোর কমিটিতে থাকা হিন্দু নেতাদের কটাক্ষ করে ইউনুস বলেন, সংখ্যালঘু পাপ করবে, বোমা বাধা থেকে লাঠি সবই পাপ আমরা করবো, এটা ঠিক না।
এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, ভোটের পরে কেন এদের বোধদয় হচ্ছে? ভোটের আগে কেন এরা বুঝতে পারছে না? তখন তো তাদের সব শিয়ালের একরা। তৃণমূলের কোর কমিটির নেতারা তাদের বিজেপির জুজু দেখাচ্ছে, যে বিজেপি আসবে তোদের তাড়াবে। এখন তারা স্বীকার করছে যে তারা বোমা মারে, বুথ দখল করে, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে তৃণমূলকে জেতায়। আশা করি ২০২৬ সালের ভোটের সময় এই বোধ তাদের ভেতরে কাজ করবে।
ইউনুসের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দলের জেলা কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ বলেন, ওই সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না, পরে খবরটা জানতে পারি। কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে আমরা কোর কমিটিতে আলোচনা করব। তবে এগুলো নিয়ে দলের ভেতরে আলোচনা করলেই ভালো হয়, এটা ইউনিসের ব্যক্তিগত মতামত। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনে বীরভূমে কোন হিংসার ঘটনা ঘটেনি, কোনো থানায় কোনো অভিযোগ জমা পড়েনি, ইউনুস যা বলেছে তার ভিত্তি আছে বলে আমি মনে করি না।