আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ২৬ জানুয়ারি: উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে দ্রুত সংগঠন বাড়াচ্ছে সংঘের শাখা সংগঠন হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। এবার তাদের লক্ষ্য এলাকা ভিত্তিক কমিটি তৈরি। রাজনৈতিক দলের কায়দায় তারা বিধানসভা এলাকা ধরে ধরে কমিটি তৈরি করছে। এরকমই একটি কমিটি তৈরি হল গতকাল। তৈরি হল উত্তর দমদম নগর কমিটি।
বছর তিনেক ধরে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের নাম বিভিন্ন সময় শোনাগেছে। বিশেষ করে রামনবমী শোভাযাত্রা’কে কেন্দ্র করে এই সংগঠনের নাম প্রকাশ্যে আসে। তাদের ব্যানারে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রামনবমীতে বিশাল বিশাল শোভাযাত্রা হয়েছে। এর পরেই দ্রুত এই সংগঠন বড়তে শুরু করে। বহু যুবক যুবতী এই সংগঠনে যুক্ত হতে থাকে। এবার তাদের লক্ষ্য বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক কমিটি তৈরি করা। গতকাল তৈরি হল উত্তর দমদম নগর কমিটি। এই কমিটি ঘোষণা করেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের জেলা সম্পাদিকা মৌসুমী কুন্ডু। সভাপতি করা হয় সুমিত মজুমদারকে, সম্পাদক হন পরমেশ দাস।
উপস্থিত ছিলেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের দক্ষিণবঙ্গের সম্পাদক উত্তম অধিকারী। সিএএ নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রচারের পাশাপাশি হিন্দু যুবক যুবতীদের কিভাবে এই হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত করা যায় সে সম্পর্কে তিনি বক্তব্য রাখেন। উত্তম অধিকারী বলেন, হিন্দু মেয়েরা লাভ জেহাদের শিকার হচ্ছে, সেইদিকে এই সংগঠনের সদস্যদের বিশেষভাবে নজর দেওয়া উচিত। এছাড়া এলাকায় বিভিন্ন কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে, বাড়ছে বাইরের লোকের আনাগোনা, তাদের আচরণ সন্দেহজনক হলেই সেই দিকে নজর রাখতে হবে এবং প্রশাসনকে সে ব্যাপারে জানাতে হবে।
সিএএ নিয়ে বক্তব্য রাখেন আরএসএসের শঙ্খনাদ পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক দীপক গাঙ্গুলী। তিনি বলেন, মূলত হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যই এই আইন। একসময় যে বৃহত্তর ভারত ছিল আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ব্রহ্মদেশ নিয়ে আজ তা ছোট হতে হতে তার আয়তন কমে এসেছে। বর্তমানে আফগানিস্তান পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে হিন্দুরা নির্যাতিত। সেই সমস্ত হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যই এই আইন।
নতুন এলাকায় এই কমিটি তৈরির মূল উদ্যোক্তা দীর্ঘ দিনের আরএসএস সদস্য মৃত্যুঞ্জয় পাল। তিনি জানান, তাঁর লক্ষ্য প্রতিটি পৌরসভা এলাকায় কমিটি তৈরি করা। এদিন সংঘের ৭জন বরিষ্ঠ কার্যকর্তাকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়।