আমাদের ভারত, ১২ এপ্রিল: রণক্ষেত্র মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরিস্থিতি বিচার করে ছুটির দিনেও বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করা হয়।
শনিবার বিকেলে বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরী কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেন। শান্তিরক্ষায় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানানো হয়েছে।
শুনানি শুরু হলে রাজ্য সরকারকে আধ ঘন্টা সময় দেয় আদালত। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে তাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়। রাজ্যের তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন নেই বলে জানানো হয়। রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমার খোদ মুর্শিদাবাদ রওনা দিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু আদালতে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের পক্ষেই রায় দেয়। আদালত বলে এই ধরনের অভিযোগ এলে আদালত চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না। প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে শাস্তি দিতে হবে।মুর্শিদাবাদের শান্তি ও সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনা এই মুহূর্তে প্রধান লক্ষ্য। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেওয়া হল। চাইলে অন্য জায়গাতেও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ডাকা যাবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতিরা।
কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়াকফ সংশোধনী আইনে বিরোধীতায় গত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল হয়েছে মুর্শিদাবাদ। বিক্ষোভ ক্রমেই হিংসাত্মক রূপ নিয়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত সেখানে তিন জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী জানান, শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, গোটা রাজ্যে যে পরিস্থিতি তা সামলাতে অক্ষম রাজ্য পুলিশ ও সরকার। কোনো পদক্ষেপই করেনি তারা। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া গতি নেই। আজকেই মামলাট শুনানি করে রায় দানের আবেদন জানানো হয়। শুনানি কালীন শুভেন্দু রায়ের আইনজীবী বলেন, “যেখানে রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী বলেছেন অশান্তি ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন দরকার।
আদালতের রায় তার পক্ষে যেতেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আজকের এই রায় বাংলার মানুষের জন্য, বিশেষ করে হিন্দুদের জন্য বড় জয়। যারা জেহাদি, চরমপন্থী এবং পুলিশের হাতে অত্যাচারিত তাদের জয়। মমতা সরকারের গালে থাপ্পড় পড়লো। রাজীব কুমারের গালে থাপ্পড় পড়লো। ডিজি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত অ্যালসেশিয়ান।