High Court, Carnival, জারি করা ১৬৩ ধারা খারিজ করে দ্রোহের কার্নিভালের অনুমতি হাইকোর্টের, মুখ পুড়ল রাজ্যের

আমাদের ভারত, ১৫ অক্টোবর: ফের আদালতে ধাক্কা খেলো রাজ্য সরকার। দ্রোহের কার্নিভাল মামলায় ধাক্কা খেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। কারণ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রবি কিশান কাপুর দ্রোহের কার্নিভালের অনুমতি দিয়েছেন। পুলিশের জারি করে ১৬৩ ধারা খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি।

চিকিৎসকদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন, পুলিশ যে আদেশ দিয়েছিল তা বাতিল করে শান্তিপূর্ণভাবে যাতে দ্রোহের কার্নিভাল ও পুজো কার্নিভাল হয়, কোনো বিরোধ না হয় তার জন্য আদালতের কাছে আমাদের প্রস্তাব ছিল। আর আর এভিনিউ থেকে রেড রোড পর্যন্ত পুলিশ ব্যারিকেড করুক আমাদের কোন আপত্তি নেই, আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করেছেন। বিকাশ রঞ্জন জানান, সরকারের তরফ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল এই আদেশে স্থগিতাদেশ চেয়েছিল। সেটাও বিচারপতি স্পষ্ট করে দেন দ্রোহের কার্নিভাল হবে। দ্রোহের কার্নিভালে যোগ দেন কান্তি গাঙ্গুলি, বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সহ বহু সাধারণ মানুষ।

চিকিৎসকদের দ্রোহের কার্নিভাল আটকাতে পুলিশের তরফে ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশের অপব্যাখ্যা করেছে পুলিশ, বিষয়টি জানিয়ে পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাকে ই- মেইল করেছিলেন চিকিৎসকরা। ই- মেইল করেছিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছেও। এদিন অবকাশকালীন বেঞ্চে মামলা চলাকালীন বিচারপতি জানতে চান রাজ্য কি কার্নিভাল ম্যানেজ করতে পারছে না?

চিকিৎসকদের তরফে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, রানী রাসমণিতে শেষ হয়ে যাবে দ্রোহের কার্নিভাল। যেটা পুজো কার্নিভালের চেয়ে অনেক দূরে। তার পাল্টায় রাজ্যের তরফে এজি কিশোর দত্ত বলেন, রেড রোডের পাশেই রানী রাসমণি। তখন বিচারপতি বলেন, আপনি একটা সুবিধামতো জায়গা বলুন আমি সেই পর্যন্ত ওদের অনুমতি দিচ্ছি। একই সঙ্গে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, একটা আন লফুল এসেম্বলের কথা বলছেন কি?

এরপর এজি সাওয়াল করেন আগামীকাল হলে এমন কিছু সমস্যা হত না। আজই করতে চাইছে মানে উদ্দেশ্য স্পষ্ট। মাত্র ৫০ থেকে ৬০ মিটার দূরেই পালিত হচ্ছে সেটাই সমস্যা। বিচারপতি তখন বলেন, দুটোই র‍্যালি শান্তিপূর্ণ হতে পারে এমন কিছু পরামর্শ দিন।

এজি তখন জানান, আর আর অ্যাভিনিউ থেকে নিরঞ্জনের প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তখন
মামলাকারীদের তরফের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “সেটা অর্ডারে নেই, চিকিৎসকরা গুন্ডা নয় যে গোলমাল পাকাবে। তেমন হলে গার্ডরুল করা হোক।

অর্ডার দিতে গিয়ে রাজ্যের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট হন বিচারপতি। কমিশনারের অর্ডারের নিন্দা করে বিচারপতি বলেন, বারবার আদালত আপনাদের নির্দেশ দিয়েছে র‍্যালির অনুমতি দিন। তারপরেও একই আচরণ। এরপর পুলিশের জারি করা ১৬৩ ধারা খারিজ করে দ্রোহের কার্নিভালে নির্দেশ দেন বিচারপতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *