রাজেন রায়, কলকাতা, ৬ জানুয়ারি: গত কয়েক মাসে দলের ভিতরের পরিস্থিতি অনেকটাই বদল হয়েছে তৃণমূলে। দলে দলে একাধিক বিক্ষুব্ধ নেতৃত্ব বিরোধী দল বিজেপিতে গিয়ে যোগদান করেছেন। ফলে দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। সেই কারণে নতুন বছরের শুরুর দিকে ফের দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব সাজিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের জল্পনার মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় দলের অবজারভারের পদ তুলে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। সেই সময় তাঁর বক্তব্য ছিল, সব জেলার অবজারভার তিনিই। এবার সেই পদ না থাকলেও ঘুরপথে বিভিন্ন জেলায় সংগঠনের উপর পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হল দলের একাধিক সিনিয়র নেতাকে।
লক্ষ্মীরতন শুক্লার দলত্যাগের পর তৃণমূলের হাওড়া জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভাস্কর ভট্টাচার্যকে। পাশাপাশি অলিখিতভাবে হাওড়ায় সংগঠনের উপরে নজর রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে। মঙ্গলবারই ওই দায়িত্ব পেয়েছেন ফিরহাদ। ওই দায়িত্ব পাওয়ার পরই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন তিনি। দল সম্পর্কে, নেত্রী সম্পর্কে তাঁর কোনও ক্ষোভ রয়েছে কিনা তা জানতে চান। মন্ত্রিসভার বৈঠকে কেন আসছেন না তাও জানতে চান বলে খবর। পাশাপাশি, দলনেত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরামর্শও দেন রাজীবকে। এমনটাই সূত্রের খবর।
দলের ভাঙন রুখতে প্রতিটি জেলাকে একজন সিনিয়র নেতার নজরদারিতে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তৃণমূল সূত্রে খবর, নদিয়া ও জঙ্গলমহলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং কোচবিহারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুব্রত বক্সীকে। হাওড়া, হুগলি, মালদা, মুর্শিদাবাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারকে দেখাতে বলা হয়েছে অরূপ বিশ্বাসকে।বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার দায়িত্ব পেয়েছেন মলয় ঘটক।অনুব্রত মণ্ডল থাকছেন তার পছন্দের বীরভূমের দায়িত্বে। উত্তর ২৪ পরগনা দেখবেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। দক্ষিণ ২৪ পরগনা সামলাবেন শুভাশিস চক্রবর্তী। আর সম্ভবত দার্জিলিংয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।