আশিস মণ্ডল, বীরভূম, ২ ফেব্রুয়ারি: বিজেপির সম্ভব্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে হ্যান্ডবিল ঘুরছে বীরভূমের নলহাটি শহর এলাকায়। এনিয়ে সন্দেহের তীর দলেরই জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। যদিও বিজেপির জেলা কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য অনিল সিংহ হ্যান্ডবিল কান্ডের তদন্ত দাবি করেছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে নলহাটি শহরজুড়ে সাদা কাগজে নীল কালীতে ছাপানো ওই হ্যান্ডবিল ঘুরে বেড়াচ্ছে। হ্যান্ডবিলে নলহাটি পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনন্দ কুমার যাদব ওরফে তাপস কুমার যাদবের নামে একাধিক অভিযোগ তোলা হয়েছে। আনন্দবাবু এবার নলহাটি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর দৌড়ে রয়েছেন। দলের একটি অংশের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়ে প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন। এতেই গাত্রদাহ হয়েছে বিজেপির বেশ কিছু নেতার। গাত্রদাহের তালিকায় নাম রয়েছে জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার। হ্যান্ডবিলে লেখা হয়েছে, তাপসবাবু শাসক দলের ছত্রছায়ায় থেকে জমি মাফিয়াদের নিয়ে অন্যায়ভাবে লরি থেকে টাকা তুলছেন। ওই অ্যাসোসিয়েশনের কোনও মিটিং না ডেকে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর তিনি সভাপতি পদে রয়েছেন”। হ্যান্ডবিলে আরও লেখা রয়েছে, “হায় আমাদের মতো বিজেপি কর্মীদের দুর্ভাগ্য এটাই যে দলকে সঠিক জায়গায় দাঁড় করাতে বর্তমান শাসক দলের প্রশাসনের হাতে মার খেয়ে, জেল খেটে, রাস্তায় রাত কাটাতে হচ্ছে। আর দলের যার কোনও সদস্য পদ নেই। শাসক দলের নেতারা তার মাথায় হাত রেখে সমান্তরাল ভাবে রাজনীতি করে চলেছে। সেই বিজেপির কিছু নেতাকে মোটা টাকা দিয়ে বিধানসভার টিকিত নিয়ে দলকে কলুসিত করতে চাইছে”। এই হ্যান্ডবিল দলের নেতারাই করেছেন বলে দাবি আনন্দ কুমার যাদবের। তিনি বলেন, “হ্যান্ডবিলের লেখা প্রমাণ করছে দলের নেতা কর্মীরা এই হ্যান্ডবিল ছড়িয়েছে। কারণ দলের বেশ কিছু নেতা প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। এটা তাদেরই কাজ”।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় মনোনয় জমা দিতে গিয়ে ২৬ জন বিজেপি নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে রয়েছেন দলের জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। তিনিও নলহাটি বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীর দৌড়ে রয়েছেন বলে খবর। ফলে মুখে না বললেও এই হ্যান্ডবিল ছড়ানো যে তারই কাজ তা পরিস্কার করে দিয়েছেন আনন্দবাবু।
যদিও বিজেপির জেলা কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য অনিল সিংহ বলেন, “এটা তৃণমূলের নোংরামি। বিজেপির অন্দরে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে এসব হ্যান্ডবিল চোরের মতো রাতের অন্ধকারে ছড়িয়েছে। আমি হ্যান্ডবিল কান্ডের তদন্ত দাবি করছি”।
তৃণমূলের নলহাটি শহর সভাপতি, পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক পিন্টু সিংহ বলেন, “এনিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না”। তবে বার বার ফোন করেও বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।