আমাদের ভারত, নদিয়া, ২৬ মে: কৃষ্ণনগর শহর শুধু প্রশাসনিক কেন্দ্র নয়, ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ স্মারকও বটে। এই শহরের নাজির পাড়া এলাকায় অবস্থিত “গ্রেস কটেজ” আজও বহন করে কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি।
১৯২৬ থেকে ১৯২৮ সাল পর্যন্ত তিনি এই কটেজে স্বপরিবারে বসবাস করেছিলেন। এই সময়েই তিনি রচনা করেন “কারার ঐ লৌহ কপাট”, “দারিদ্র”, “সাম্যবাদী”, “ফণী মনসা”, “পূবের হাওয়া” এবং উপন্যাস “মৃত্যুক্ষুধা”। কলকাতায় হিন্দু মেয়ে প্রমীলা দেবীকে বিয়ে করার ফলে বয়কটের শিকার হয়ে তিনি আর্থিক ও সামাজিক দিক থেকে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। সেই সময় বিপ্লবী বন্ধু হেমন্তকুমার সরকারের উদ্যোগেই তিনি কৃষ্ণনগরে আশ্রয় পান। অনেক গবেষকের মতে, এই শহরে অবস্থান তাঁর চিন্তা-ভাবনায় গভীর পরিবর্তন আনে।
২০১২ সালে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন “গ্রেস কটেজ”কে হেরিটেজ স্মারক ঘোষণা করে এবং ভবনটিকে সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়। এই কটেজ শুধু একটি ঐতিহাসিক বাড়ি নয়, বরং নজরুলের সাহিত্যিক ও ব্যক্তিগত জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সাক্ষ্যবহনকারী স্থান।