আমাদের ভারত, ২১ জানুয়ারি:শীর্ষ আদালত আগেই জানিয়ে দিয়েছে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দিল্লি পুলিশ। এই বিষয়ে আদালত কোনো সিদ্ধান্ত যদি নেয়, তাহলে কৃষকদের কাছে তার ভুল বার্তা পৌঁছাতে পারে। তাছাড়াও সভা-সমিতির মিছিল করার মত বিষয়ে অনুমতি দেওয়ার এক্তিয়ার প্রশাসনের হাতে। ফলে দিল্লিতে সেদিন কত লোক প্রবেশের অনুমতি পাবে তা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।এবার ২৬ জানুয়ারি কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। নিরাপত্তা জনিত কারণেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।
দীর্ঘ ৫৭ দিন ধরে চলছে কৃষকদের আন্দোলন। এখনোও সরকার কৃষকদের মধ্যে কোন রফাসূত্র বের হয়নি। কৃষকরা নিজেদের দাবিতে অনড় রয়েছে। কৃষকরা হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন তিনটি কৃষি বিল প্রত্যাহার না করলে তাদের আন্দোলন চলতে থাকবে। পরপর ১০ বার বৈঠকে বসে সরকারের তরফে একের পর প্রস্তাব দেওয়া হলেও বরফ গলেনি। এর আগেও রাজধানীর বিভিন্ন সীমান্তের ট্রাক্টর মিছিল করেছেন কৃষকরা। পাঞ্জাব হরিয়ানা বহু কৃষকরা ট্রাক্টর মিছিল করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। তবে ২৬ জানুয়ারি তাদের ট্রাক্টর মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্র। নিরাপত্তাজনিত কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
ইতিমধ্যেই এই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বেশ কয়েক জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মারাত্মক শীত, বৃষ্টি,করোনা সহ অন্যান্য নানা প্রতিবন্ধকতাকে এড়িয়ে গিয়ে কৃষকরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। পাঞ্জাব সরকার ইতিমধ্যেই আন্দোলনে প্রাণ হারানো কৃষকদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে কৃষক আন্দোলন বড় আকার নিতে পারে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের। খবর পাওয়া যাচ্ছে কৃষক সংগঠনের নেতারা কেন্দ্রের এই নিষেধাজ্ঞা জারির করার পর এই বিষয়ে পুলিসের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকে বসেছেন। দিল্লির আউটার রিং রোড ট্রাক্টর মিছিল করতে চাইছেন তারা।