আমাদের ভারত, ১ ডিসেম্বর:সরকারের সাথে বৈঠকে পাওয়া গেলো না রফাসূত্র। আগামী ৩ ডিসেম্বর ফের কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন আন্দোলনরত কৃষকরা। মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসে ছিল কেন্দ্র। তবে নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের করতে রাজি নয় সরকার তা আজ কৃষকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকরাও।
তবে আবার কয়েকদিন পরেই বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছেন দুই পক্ষ।
রাজধানীর বিজ্ঞান ভবনের কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক ভালো হয়েছে। “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী ৩ ডিসেম্বরে আবার বৈঠকে বসব। ওই দিন আমরা কৃষকদের প্রতিনিধিদের একটি ছোট দলের সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তাতে কৃষকরা রাজি হয়নি। আলোচনায় সমস্ত কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন তারা। আমাদের তাতে কোনো আপত্তি নেই।”
এদিনের বৈঠকে একটি কমিটি গঠন করে কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কৃষি আইন নিয়ে আলোচনা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু শোনা যাচ্ছে কৃষকদের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আর কোন কমিটি গড়ে আলোচনার সময় এখন নয়, সমাধান সূত্র না বেরোনো পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লি হরিয়ানা সীমান্তে বিক্ষোভে বসেছেন কৃষকরা। শুধু পাঞ্জাব হরিয়ানা নয়, উত্তরাখান্ড, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান থেকেও কৃষকরা এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন।
তবে মোদী সরকার লাগাতার কৃষকদের নয়া কৃষি আইনের সুবিধা বোঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মোদী সোমবার বেনারসে গিয়ে বলেন গঙ্গার তীরে দাঁড়িয়ে বলছি আমদের উদ্দেশ্য কৃষকদের ঠকানো নয়। বরং এই কৃষি আইনের ফলে কৃষকরা নিজেদের উৎপাদিত পণ্য স্বাধীন ভাবে দাম নির্ধারণ করে বিক্রি করার সুযোগ পাবেন। এতে তাদের আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি হবে। বিজেপির অভিযোগ বিরোধীরা রাজনৈতিক স্বার্থে কৃষকদের ভুল বুঝিয়ে বিপথে পরিচালিত করছে। মোদী বলেন, তার সরকার কৃষকদের উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছেন, আর বিরোধীরা লাগাতার কৃষকদের ঠকিয়ে গেছেন। ফলে এখন দেখার এই কৃষক বিদ্রোহকে কি ভাবে সামাল দেয় মোদী সরকার।