নীল বনিক, আমাদের ভারত, কলকাতা : ফের কলকাতার রাস্তায় সাতসকালে জনসংযোগ সারলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। বৃহস্পতিবার ঢাকুরিয়া লেকে সস্ত্রীক রাজ্যপাল প্রাতঃভ্রমণে যান। প্রাতঃভ্রমণ সারতে সারতেই তিনি সাধারন মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের কাছ থেকে সুবিধা অসুবিধার কথা জানতে চান।
প্রসঙ্গত, আগেও রাজ্যপাল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে গিয়ে প্রাতঃভ্রমণ করেছিলেন। সেইসময় রাজ্যপাল সাধারন মানুষের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। রাজ্যপালকে কাছে পেয়ে সাধারন মানুষও তাদের নানা সম্যার কথা জানিয়েছিলেন। ভিক্টোরায়া মেমোরিয়ালে সাধারন মানুষকে রাজ্যপাল কথা দিয়েছিলেন সময় করে কলকাতায় ফের তিনি জনসংযোগ সারবেন। কথা রেখে এবার তিনি কলকাতায় ঢাকুরিয়া লেকে প্রাতঃভ্রমণে বার হলে।
রাজ্যপালের কাজকর্ম নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস জগদীপ ধনকরকে আগেই নিশানা করেছিল। রাজ্যপালের জনসংযোগ যাত্রা নিয়ে তাঁকে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূলের মন্ত্রীরা। রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি জানিয়েছিলেন, রাজ্যপালের রাজনীতি করা উচিত। উনি সক্রিয় রাজনীতি প্রবেশ করুক। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশেই জগদীপ ধনকর এরাজ্যে সবকিছুতে মাথা ঘামাচ্ছে। তৃণমূলের সহসচিব বলেছিলেন, রাজ্যপাল নিজে সংবিধান মানছেন না। সংবিধান ববহির্ভূত কাজ করে চলেছেন। তৃণমূল সবটাই নজরে রাখছে। রাজ্যে সমান্তরাল প্রশাসন চালবার চেষ্টা করছেন জগদীপ ধনকর। সম্প্রতি রাজ্যপালের নামে তৃণমূল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নালিশও জানিয়েছে।
সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে জগদীপ ধনকের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেও রাজ্যপালকে থামাতে পারছে না রাজ্যের শাসক দল। কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করেই ফের জগদীপ ধনকর প্রাতঃভ্রমণে বের হয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করলেন। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, আমি সংবিধান মেনেই সবকিছু করছি। রাজ্যের প্রত্যেক মানুষের জন্য রাজভবনের দরজা খোলা। যেকেউ রাজভবনে তাদের অসুবিধে নিয়ে আসতে পারে। এমনকি তাঁকে মেল বা চিঠি দিয়েও সুবিধে – অসুবিধের কথা জানাতে পারেন বলে জানিয়েছে জগদীপ ধনকর।
রাজ্যের রাজ্যপালের জনসংযোগ যাত্রা নিয়ে শাসক দলের নেতারা এবার কতটা সুর চড়ান সেটাই দেখার। কেননা রাজ্যপালের প্রত্যেকটা কর্মসূচির পরেই নিয়ম করে তাঁকে আক্রমন করেন শাসকদলের নেতা নেত্রীরা।