দুয়ারে সরকার, প্রথম স্থানে আলিপুরদুয়ার

আমাদের ভারত, আলিপুরদুয়ার, ৮ জানুয়ারি: ফের নজির তৈরি করল আলিপুরদুয়ার জেলা। এবার দুয়ারে সরকার প্রকল্পে রাজ্যের বাকি ২২টি জেলাকে পিছনে ফেলে প্রথম হল আলিপুরদুয়ার জেলা। ৩১ডিসেম্বর অবদি পাওয়া তথ্যে জানা গিয়েছিল, রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে আলিপুরদুয়ার। প্রথম স্থানে পৌঁছাতে পারবে কিনা জেলায় চর্চা চলছিল। নতুন বছরের শুরুতেই জেলা প্রশাসনের সাফল্য উঠে এল জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনার বার্তায়।

জেলাশাসক বলেন, “এই কৃতিত্ব আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের সকলের। আমরা প্রশাসনের প্রত্যেক আধিকারিক প্রতিদিন কোনও না কোনও ক্যাম্পে যাচ্ছি।প্রচুর মানুষ আসছেন। খুব অল্প দিনেই ৪০ শতাংশ মানুষের কাছে আমরা পৌঁছে যেতে পেরেছি। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আমাদের লক্ষ্য আর দ্রুত আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া। সকলকে ধন্যবাদ। সবার সহযোগিতা ছাড়া এই সাফল্য সম্ভব ছিলনা।”

জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, ১৫ লক্ষের সামান্য কিছু বেশি মানুষ রয়েছেন আলিপুরদুয়ার জেলায়।তার মধ্যে প্রায় ৬ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ ইতিমধ্যে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে পৌঁছে গেছেন। গতবছর ১লা ডিসেম্বর কার্যত সকলকে চমকে দিয়ে রাজ্যে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ২৮ জানুয়ারি অবদি চলার কথা। এক্কেবারে পাড়ায় চলে আসে প্রশাসন। ছিল নির্দিষ্ট ক্যাম্প। সেখান থেকেই মোট ১১টি সরকারি সামাজিক প্রকল্পের সাহায্য নিতে পারছেন মানুষ। তথ্য বলছে, আলিপুরদুয়ার জেলায় প্রায় ২৫০ এর কাছাকাছি ক্যাম্প হয়েছে পুরসভা ও ৬ টি ব্লকের ৬৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতে। ভির উপচে পড়েছে শিবিরে। এই ছবি ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে ক্যাম্পগুলি থেকে। জেলার বিভিন্ন ক্যাম্পে পৌঁছে গিয়ে রেকর্ড সময়ে সরকারি শংসাপত্র মানুষ পেয়েছেন এমন একাধিক ঘটনা উঠে এসেছে পালা করে।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য সাথী, কৃষক বন্ধু, শিক্ষাশ্রী, খাদ্যসাথী সহ মোট ১১ টি নির্দিষ্ট প্রকল্পকে একই ছাতার তলায় নিয়ে আসা হয় দুয়ারে সরকারে। প্রথম থেকেই জেলাশাসক থেকে বিডিও পর্যায়ের আধিকারিকরা শিবিরগুলি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। ইতিমধ্যেই দুয়ারে সরকার এর দুটি রাউন্ড শেষ হয়েছে। তৃতীয় রাউন্ড শেষ হবে ১২ জানুয়ারি। তবে এরপরও যদি কারোও কোনও সমস্যার সমাধান না হয়ে থাকে বা যারা শিবিরে পৌঁছে যেতে পারেনি তারা চতুর্থ রাউন্ডেও একই শিবিরে গিয়ে সরকারি প্রকল্পের আওতাভুক্ত হতে পারবেন।

উল্লেখ্য, এর আগে ১০০ দিনের প্রকল্প, কন্যাশ্রী প্রকল্পতে সাফল্যের নজির তৈরি করেছে জেলা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানান, চা বাগান ঘেরা জেলায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন। তপশিলি জাতি উপজাতি মানুষ তাদের জন্য থাকা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে শিবিরগুলিতে। নিবিড় প্রচার অভিযান জেলার সাফল্যের আর একটি কারন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *