আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ৫ নভেম্বর: পাচার হওয়ার আগে এক কেজি ছয়শো আটাশ গ্রাম সোনা উদ্ধার হল জলপাইগুড়ির জাতীয় সড়ক থেকে। উদ্ধার হওয়া সোনার বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। কোতোয়ালি থানার পুলিশ ও সদর ট্র্যাফিক পুলিশের তৎপরতায় সোনা সহ গ্রেফতার ভিন রাজ্যের দুই যুবক।
জলপাইগুড়ি জাতীয় সড়কের গোশালা মোড়ে ছোট গাড়িতে তল্লাশি করতেই বের হয়ে আসে ১৪টি সোনার বিস্কুট। ছোট গাড়ির চালক ধূপগুড়ির বাসিন্দা বাপি রায়ের সাহায্যে সোনা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। শনিবার অপরিচিত দুই যুবক
বাপির গাড়ি ভাড়া করেছিল ধুপগুড়ি থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার জন্য। এরপর দুই যাত্রীকে নিয়ে জাতীয় সড়ক ধরে রওনা দেয় বাপি৷ মাঝে বাপিকে বিভিন্নভাবে টাকার প্রলোভন দেখায় ওই দুই যুবক। বাপি জানায়, দুই যুবকের পকেটে কিছু একটা ছিল তাতেই আমার সন্দেহ হয় এবং তারা টোল ও পুলিশের তল্লাশি এড়িয়ে যাওয়া কথা বলে। ঘুরে যাওয়ার জন্য বাড়তি পাঁচ হাজার টাকার পেট্রোল ভরতে বলেছিল। আবার বলেছিল ত্রিশ হাজার টাকা দেবে দু’জনকে কলকাতায় পৌঁছে দিতে হবে। সন্দেহ ও ভয় হওয়ায় শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে সদর ট্রাফিক ওসি বাপ্পা সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করি। গোশালা মোড়ে আমার গাড়ি আটক করে পুলিশ৷ আমি গাড়ি থেকে বের হয়ে সরে যাই।”
এদিকে খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার আইসি অর্ঘ্য সরকার, সদর ট্রাফিক ওসি বাপ্পা সাহার উপস্থিতিতে তল্লাশি করে ১৪টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয় দুই যুবকের কাছ থেকে। ধৃতরা হলেন রাহুল কোডান ও সৌরভ মিন্ডে। মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলার বাসিন্দা। পুলিশের জেরায় উঠে এসেছে মায়ানমার থেকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সোনাগুলি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ সেন বলেন, “গাড়ি চালকের খবরের ভিত্তিতে সোনা উদ্ধার হল। দু’জনকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু হয়েছে।”