আমাদের ভারত, ৬ জুন: মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হলো বারাণসী বিস্ফোরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া ওয়ালিউল্লাহকে। সোমবার গাজিয়াবাদ আদালত তার ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছে।
২০০৬ সালের ২৭ মার্চ ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল বারাণসী। সংকটমোচন মন্দির, ছাউনি, রেলস্টেশন ও দশাশ্বমেধ ঘাট সংলগ্ন এলাকায় পরপর তিনটি বিস্ফোরণ হয়। ঘটনার পরের দিন প্রয়াগরাজ জেলার ফুলপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ওয়ালিউল্লাহকে। আরও ৫ জন অভিযুক্ত ছিল এই মামলায়।
১৬ বছর ধরে শুনানি চলার পর অবশেষে শাস্তি ঘোষণা করা হয়। প্রথমে এই মামলা এলাহাবাদ হাইকোর্টে বিচারাধীন ছিল। পরে এটা গাজিয়াবাদ জেলা আদালতে স্থানান্তরিত হয়। সরকার পক্ষের আইনজীবী রাজেশ শর্মা জানিয়েছেন, দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ওয়ালিউল্লাহ। আজ সাজা ঘোষণার পর পরিস্থিতি অশান্ত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। তাই আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের বিচারকের পক্ষে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মাঝে মাঝে কুকুর নিয়ে এলাকায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।
বারানসি বিস্ফোরণে মূল অভিযুক্ত ওয়ালিউল্লাহের হয়ে মামলা লড়তে রাজি ছিলেন না কোনো আইনজীবী। ফলে প্রথমদিকে মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি। সেই কারণে মামলা সরিয়ে দেওয়া হয় গাজিয়াবাদে। বিস্ফোরণের তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে আরও ৫জন জড়িত ছিল এই ঘটনায়। তাদের মধ্যে মৌলানা জাবির নামের এক অভিযুক্ত বিএসএফের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। সেই সময়ই তার মৃত্যু হয়। তবে ওয়ালিউল্লাহ এই ফাঁসির সাজার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চতর আদালতে যেতে পারে।