কুমারেশ রায়, আমাদের ভারত,মেদিনীপুর, ১৫ ডিসেম্বর :
খড়ার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং প্রশাসক ও শিক্ষক প্রয়াত ডঃ উত্তম মুখোপাধ্যায়ের মরদেহে মালা দিতে এসে খড়ারে জনরোষের মুখে পড়লেন ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দলুই। বিক্ষোভের ফলে মরদেহে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পন না করেই ফিরে যেতে হয় বিধায়ককে।
উল্লেখ্য ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রাক্তন প্রশাসক উত্তম মুখোপাধ্যায় কে প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে ঘাটালের বিধায়ক শংকর দোলুইকে ওই পদে বসানো হয়।রাজনৈতিক মহল মনে করে উত্তমবাবু শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ট হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খড়ারের মানুষ এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি। রাতারাতি এই সিদ্ধান্তে উত্তমবাবু বিস্মিত হয়েছিলেন এবং মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছিলেন। খড়ার এ জনরোষ এতই তীব্র ছিল যে বর্তমান প্রশাসক শঙ্কর দলুই প্রয়াত উত্তম বাবু কে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে এলে জনরোষের মুখে পড়তে হয়।
এই বিষয়ে শঙ্কর দলুই বলেন, কয়েকজন বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তবে আমি ওঁনাকে শ্রদ্ধা করতাম এবং করি। ওঁনার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন আজকের দিনে এই ধরনের বিতর্কিত কথা নয়। উত্তমবাবু একজন দক্ষ সংগঠক ছিলেন, আমরা একজন ভালো মানুষ কে হারালাম। এই ক্ষতি পূরণ হবার নয়।
খরার পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অরূপ রায় সরাসরি বলেন, শংকর দোলুইকে প্রশাসক নিযুক্ত করার ফলে উত্তমবাবু মানসিক ভাবে কষ্ট পেয়েছিলেন। অরূপবাবু আরো বলেন যে আমরা এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারিনি। উত্তমবাবু একজন দক্ষ এবং স্বচ্ছ প্রশাসক ছিলেন এখানে কোনো দুর্নীতি ছিল না। শংকর বাবু কে প্রশাসক করায় এতই তীব্র জনরোষ যে আজ শংকরবাবু কে বিক্ষোভের মুখে পড়ে মালা না দিয়ে চলে যেতে হয়।
উত্তম বাবুর সহকর্মী শিক্ষক অদ্যুৎ মন্ডল বলেন, শংকরবাবুর মত একজন অর্ধশিক্ষিত কে প্রশাসক করা মেনে নেওয়া যায় না। উত্তম বাবু একজন অত্যন্ত সৎ প্রশাসক এবং শিক্ষক ছিলেন।