বালুরঘাটে তৃণমূলের ভরা মঞ্চে গেরুয়া ধ্বনি বিজেপি ত্যাগী নেতাদের, হেসে লুটোপুটি খেলেন কর্মীরা

আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ২৩ ফেব্রুয়ারি: তৃণমূলের ভরা মঞ্চে গেরুয়া ধ্বনি বিজেপি ত্যাগী নেতাদের। হেসে লুটোপুটি খেলেন তৃণমূল কর্মীরা। রবিবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাটের সাহেব কাছারি এলাকার উৎসব ভবনে। যদিও পরে নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া ওই নেতারা। পুরভোটের আগে বিজেপি শিবিরের এমন বড়সড় ভাঙনে যথেষ্টই আলোড়ন পড়েছে শহর জুড়ে। দলে তোলাবাজি ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেওয়ায় ওই নেতাদের দলবদল বলে দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ।

এদিন বিকেলে শহরের সাহেব কাছারি এলাকার ওই উৎসব ভবনে বিজেপির জেলা সম্পাদক মিঠু মহন্ত, শ্রমিক সংগঠনের নেতা শ্যাম সুন্দর সাহা সহ বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস ছেড়ে শতাধিক কর্মীসমর্থক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। যাদের হাতে এদিন তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ। তৃণমূলের দাবি, নেতৃত্বরা ছাড়াও প্রায় ৪ হাজার কর্মীসমর্থক এদিন তৃণমূলে যোগদান করেছেন। যে দলবদল অনুষ্ঠানে জেলা তৃণমূল সভাপতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দেবাশিস মজুমদার, টাউন তৃণমূল সভাপতি সুভাষ চাকি সহ অনান্য নেতৃত্বরা। যে যোগদান পর্ব শেষে মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপস্থিত সকল তৃণমূল নেতৃত্বদের গৈরিক অভিনন্দন জানান সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া মিঠু মহন্ত। যাকে কেন্দ্র করেই সভাস্থলে হাসাহাসি শুরু করেন কর্মীসমর্থকরা। একই ভাবে মঞ্চে বক্তব্যর শেষে বিজেপির শ্লোগান দেন সদ্য বিজেপি ত্যাগী শ্রমিক নেতা শ্যাম সুন্দর সাহাও। যাকে ঘিরেই হেসে লুটোপুটি খেয়েছেন অধিকাংশ নেতা কর্মীরা। যদিও পড়ে ওই দুই নেতাই নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন।

মিঠু মহন্ত জানিয়েছেন, লোকসভা ভোটে জয়ের পর থেকে সাংসদের কর্মকান্ড সহ জেলা কমিটি যেভাবে চলছে তা তিনি মেনে নিতে পারছেন না। একই সাথে সিএএ, এনআরসি নিয়েও তাঁর আপত্তি রয়েছে। পাশাপাশি মমতা ব্যানার্জির উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতেই এদিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল দলে যোগদান করেছেন।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ জানিয়েছেন, সিএএ, এনআরসি নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে লোকসভায় জয়ের কান্ডারীরা এখন তৃণমূলে যোগদান করছেন। এদিন নেতা কর্মী সহ প্রায় ৪ হাজার জন তৃণমূলের পতাকা তুলে নিয়েছেন।

বিজেপির সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, দলে দুর্নীতি ও তোলাবাজিকে কখনোই প্রশ্রয় দেওয়া দেওয়া হবে না। যারা দল ছেড়েছেন তাঁদের এক জনের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্ক থেকে ১৭ লক্ষ টাকা লোন তুলে তা পরিশোধ না করার পাশাপাশি ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে হুমকি দেবার অভিযোগ রয়েছে। অপর জন চাকরি দেবার নাম করে তোলাবাজি করছিল। যাদের এর আগে সতর্ক করা হয়েছিল। বিজেপিতে থেকে এসব করতে না পারায় তাঁরা দল ছেড়েছে। যাতে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *