তাপস মাহাতর প্রতিবেদন
আমাদের ভারত, ৬ ফেব্রুয়ারি: বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যে বিগত কয়েক বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ফল গবেষণার প্রযুক্তি সম্প্রসারণের কাজ চলছে। কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ফার্মে, কখনও কৃষকের জমিতে, কখনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার জমি প্রদর্শন করে কৃষি বিজ্ঞানীরা কৃষকদের আহ্বান করছেন। করোনা পরিস্থিতিতেও তারা থেমে থাকেননি। সর্তকতা অবলম্বন করে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, স্যানিটাইজার ব্যবহার করে, কখনও মাস্ক বিতরণ করেই প্রশিক্ষণ দিতে ছুটে গেছেন প্রত্যন্ত গ্রামে। কৃষকদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক সারা রাজ্যে এমনকি সারা দেশে একটি প্রেরণা। কীভাবে কৃষকের কাছে পৌঁছে কীভাবে উন্নত চাষের কলাকৌশল প্রয়োগ করতে হয় দেখিয়ে দিচ্ছেন অধ্যাপক ড. কল্যাণ চক্রবর্তী, অধ্যাপক ড. দিলীপ কুমার মিশ্র এবং বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ফল গবেষণা কেন্দ্রের টিম
৩ রা ফেব্রুয়ারী এইভাবেই তাঁরা গিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটা ব্লকের শেরগড় গ্রামে। প্রায় ষাটজন কৃষক সেখানে প্রশিক্ষণ নেন। প্রযুক্তি সরবরাহ ছাড়াও, তাঁদের বিনামূল্যে দেওয়া হয় উন্নত প্রজাতির ফলের গাছ, কিছু সার ও অন্যান্য সামগ্রী। হাতেকলমে দেখিয়ে দেওয়া হয় কীভাবে কত দূরত্বে চারা লাগাতে হবে, পুরোনো বাগানকে কীভাবে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে, কীভাবে সাথী ফসল চাষ করতে হবে।
শেরপুরের চাষীরা উন্নত ফলচাষ বিষয়ে পালা বাঁধবেন, এই মর্মে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন। গ্রামীণ লোককবি ও সাহিত্যিক, লোকসংস্কৃতিচর্চাকারী মানুষ লোকনাট্যের মাধ্যমে কৃষি সাংবাদিকতা করবেন আগামী দিনে এমনটাই জানিয়েছেন। স্থানীয় কৃষক বিপ্লব মন্ডল সহ আরও তিনজন কৃষক কৃষি সম্পর্কিত পালাগান বাঁধতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আরও প্রশিক্ষিণ নেবেন। কৃষকের মাধ্যমে তাঁদের সাফল্যে কাহিনী ও প্রচার অনেক বেশি কার্যকর হয়। এই নতুন ভাবনায় শরিক হতে চায় শেরগড় গ্রামের কৃষকরা।
অধ্যাপক কল্যাণ চক্রবর্তী তাঁদের তৈরি উদ্যান ভাবনার পালাগুলি সম্পাদনা করে দেবেন বলে জানিয়েছেন। অধ্যাপক দিলীপ কুমার মিশ্র জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফল গবেষণা কেন্দ্র ICAR এর অর্থানুকূল্যে কৃষকদের কাছে সাধ্য মতো পৌঁছাতে চান। AICRP fruits প্রকল্পের বিজ্ঞানীরা কৃষকের সঙ্গেই আছেন।