ডাকবিভাগের পরীক্ষায় জাল শংসাপত্র দাখিল, বালুরঘাটে গ্রেপ্তার এক মহিলা সহ চারজন

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ৫ নভেম্বর: জাল শংসাপত্র দাখিল করে বিপাকে ডাক বিভাগে পরীক্ষা দিতে আসা চার পরীক্ষার্থী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি বালুরঘাট হেড পোস্ট অফিসের। ঘটনা জানিয়ে বালুরঘাট হেড পোস্ট অফিসের তরফে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে বালুরঘাট থানায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত চারজনের মধ্যে ৩ জন পুরুষ ও একজন মহিলাও রয়েছেন। ধৃতরা কোচবিহার ও রায়গঞ্জের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃত চার জনকে বালুরঘাট জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জানাগেছে, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর দুই জেলার গ্রামীণ ডাক সেবক পদের ২৩ জন প্রার্থীর জন্য অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছিল। সেই আবেদনের সময় দশম শ্রেণির পাওয়া সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে ইন্টারভিউ ডাকা হয়। সেই ২৩ জনের মধ্যে একজন যুবতী ও তিনজন যুবক বুধবার ইন্টারভিউ দিতে আসেন। তাঁদের জমা করা শংসাপত্রগুলি ভুয়ো প্রমাণ হতেই তাদের আটকে রেখে বালুরঘাট থানায় খবর দেওয়া হলে, পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে দুই যুবক শ্রী কুমার সরকার, চন্দন কুমার বর্মন এবং এক যুবতী দোলন সরকার সকলেরই কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও আর এক যুবক মর্তুজা আলম, যে উত্তর দিনাজপুর জেলার বলেও জানা গিয়েছে। এদের সকলের মধ্যেই যোগসূত্র আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।

জানা গিয়েছে, বুধবার বাসে করে ওই চারজন বালুরঘাট হেড পোস্ট অফিসে ইন্টারভিউ দিতে আসে। বুধবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন পুলিশ চারদিনের রিমান্ড চেয়ে বালুরঘাট জেলা আদালতে আবেদন জানিয়েছে। মার্কশিটের জাল চক্র যে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে রয়েছে তা এর আগেও বিভিন্ন ভাবে সামনে এসেছে। কীভাবে বা কার কাছে এই যুবক-যুবতীরা জাল মার্কশিট বানিয়েছে তা নিয়েই তদন্ত শুরু করছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।

এবিষয়ে ডাক বিভাগের সুপারিন্টেন্ডেন্ট রাজীব রঞ্জন বলেন, গ্রামীন ডাক সেবক পদের জন্য গতকাল চারজন ইন্টারভিউ দিতে আসেন। মার্কশিটের প্রাপ্ত নম্বরের সাথে কথাবার্তার অসঙ্গতি দেখে আমরা মার্কশিট ভেরিফাই করে দেখি জাল মার্কশিট। জাল মার্কশিট নিয়ে চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়া কোনও ভাবেই কাম্য নয় এবং এটি একটি অপরাধ। তাই আমরা বালুরঘাট থানার পুলিশকে লিখিত অভিযোগ করেছি। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে গেছেন।

এবিষয়ে ডিএসপি হেডকোয়ার্টার ধীমান মিত্র বলেন, বুধবার চারজন ভিন জেলার বাসিন্দা গ্রামীন ডাক সেবক পদের জাল মার্কশিট দিয়ে চাকরির আবেদন করেছে। ইন্টারভিউ দিতে এসে ধরা পড়ে যায়।

এবিষয়ে ডাক বিভাগের সুপারিন্টেন্ডেন্ট আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তাদের গ্রেপ্তার করেছি। আজ আদালতে চারদিনের পুলিশি রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তারা কিভাবে ওই জাল কর্মের সাথে লিপ্ত হয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *