আমাদের ভারত, ২২ জুলাই: রবিবার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দাঁড়িয়েই বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই মন্তব্য ঘিরেই এবার বিতর্ক শুরু হলো। বিজেপি সাংসদ রবি শঙ্কর প্রসাদ সাফ জানালেন, শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার অধিকার রাজ্য সরকারের নেই। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।
রবিবার, ২১ জুলাই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ‘শহিদ দিবস’ পালন করে। ওই মঞ্চ থেকেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি বাংলাদেশ নিয়ে কোনও কথা বলতে পারি না। কারণ ওটা একটা আলাদা দেশ। যা বলার ভারত সরকার বলবে। কিন্তু আমি এটুকু বলতে পারি, অসহায় মানুষ যদি বাংলার দরজার কড়া নাড়ে তাহলে আমরা তাদের আশ্রয় নিশ্চই দেব। কারণ ইউনাইটেড নেশনসের প্রস্তাব আছে। কেউ যদি রিফিউজি হয়ে যায় তাহলে পার্শ্ববর্তী এলাকা তাকে সম্মান জানাবে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেই সোমবার বিজেপি সাংসদ রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী এই অধিকার রাজ্য সরকারের নেই। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে”।
সিএএ’র প্রসঙ্গ টেনে তিনি আক্রমণ করে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে বাংলাদেশে যা হচ্ছে, উনি বাংলার দরজা খোলা রাখবেন। মমতাজি, আপনিই সেই ব্যক্তি যিনি সিএএ-র বিরোধিতা করে বলেছিলেন যে হিন্দু, শিখ, পার্সি বা খ্রিস্টান রিফিউজিদের বাংলায় ঢুকতে দেবেন না। মমতাজি সবসময় সিএএ-র বিরোধিতা করেছেন, যেখানে সিএএ-র সঙ্গে ভারতীয় নাগরিকদের কোনও সম্পর্কই নেই, তা সে হিন্দু হোক বা মুসলিম।”