আমাদের ভারত, হাওড়া, ২০ নভেম্বর: দুর্গাপূজা, কালীপূজার পর এবার ছট পুজো। করোনা সংক্রমণের মাঝে একের পর এক উৎসবে সামিল উৎসব প্রিয় মানুষ। তবে করোনা আতঙ্ক দুর্গাপূজা, কালীপূজায় কিছুটা রাশ টানলেও ছট পুজোয় সেই রাশ কিছুটা আলগা হতেই আনন্দে গা ভাসাল শিশু থেকে বৃদ্ধ। আর যার কারণে শুক্রবার মাস্ক না পরেই সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই নদী ঘাটগুলিতে ভীড় জমাল পুণ্যার্থীরা।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি শুক্রবার বিকেল থেকেই উলুবেড়িয়া, ফুলেশ্বর, চেঙ্গাইল, বাউড়িয়ার নদী ঘাটগুলিতে পুণ্যার্থীদের ভীড় জমতে শুরু করে। সময় যত গড়িয়েছে ঘাটগুলিতে ভীড় তত বেড়েছে। এমনকি একটা সময় সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখাটাও কার্যত দুঃসাধ্য হয়ে উঠছিল পুণ্যার্থীদের কাছে। শুক্রবার বিকেল থেকেই উলুবেড়িয়া কালীবাড়ি ঘাট, পোস্ট অফিস ঘাট, ফুলেশ্বরের বিবির চড়া, বাউরিয়া লঞ্চঘাটে ভিড় জমাতে শুরু করে পুণ্যার্থীরা। যদিও এবারে কোনওরকম ডিজে বক্স ছাড়াই নদীর ঘাটে হাজির হয় পুণ্যার্থীরা। তবে বেশিরভাগ পূণ্যার্থী মাস্ক ছাড়াই হাজির হয়েছিল ঘাটগুলিতে।
এদিকে ছট পুজো উপলক্ষে প্রতিটি ঘাটে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন ছাড়াও নদীবক্ষে লঞ্চের মাধ্যমে নজরদারির ব্যবস্থা করেছিল পুলিশ। পাশাপাশি সিভিল ডিফেন্সকেও মজুত রাখা হয়েছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোভিড বিধি মেনে উৎসবে শামিল হওয়ার জন্য সকলের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছিল। পাশাপাশি কোন রকম শব্দ বাজি ফাটানোর জন্য আবেদন জানানো হচ্ছিল। যদিও প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করেই বিবির চড়ায় শব্দ বাজি ফাটানোর অভিযোগ উঠেছিল একদল উৎসাহী যুবকের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে এদিন বাউড়িয়া ছট পুজো উপলক্ষে নদী ঘাট গুলিতে প্রচুর পুণ্যার্থীর সমাগম হয়েছিল। ছট পুজো নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে ঘাট গুলিতে পুলিশ আধিকারিকরা ছাড়াও উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক ইদ্রিস আলী, উলুবেড়িয়া পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অভয় দাস, বোর্ডের অন্যতম সদস্য আব্বাস উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।