অমরজিৎ দে, ঝাড়গ্রাম, ১ জানুয়ারি: শাল -মহুল আর পাহাড়, ডাহি – ডুংরীর দেশ এই জঙ্গলমহল। প্রকৃতির অপরূপ রূপে সজ্জিত এই জঙ্গলমহলে প্রতি বছরই বাংলা তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রকৃতি প্রকৃতি প্রেমী মানুষ ছুটে আসেন সৌন্দর্য উপভোগ করতে। এবারেও করোনা মহামারীর থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে ভ্রমণপিপাসু মানুষের দল জঙ্গলমহলের বিভিন্ন পর্যটন ক্ষেত্রে ভিড় জমিয়েছেন।
শীতের আমেজ গায়ে মাখতে এবার ভ্রমণপিপাসু মানুষ দল বেঁধে ভিড় জমিয়েছেন জঙ্গলমহলে। ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি ,গোপীবল্লভপুর, নয়গ্রাম সহ বিভিন্ন জায়গায় শাল মহুলে ঘেরা বন জঙ্গল, পাহাড়, ঝর্ণা, নদী এই সবকিছু পরখ করার জন্য বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসু মানুষ ঝাড়গ্রামে ভিড় করেছে। ঝাড়গ্রাম শহর থেকে অনতিদূরে বেলপাহাড়ীর লালজল, কাকড়াঝোড়, গাডরাসিনি, ঘাগরা, খান্দরানি ড্যাম্প। অপরদিকে গোপীবল্লভপুর এর হাতিবাড়ি, ঝিল্লি পাখিরালয়, প্রাচীন রাধাগোবিন্দ জিউর মন্দির, সুবর্ণরেখা নদী ঘেঁসা ইকো পার্ক, ঘাঘরা জল প্রপাত এই সমস্ত জায়গায় মানুষেরা যেমন ভিড় জমিয়েছেন তেমনি বনভোজনের আয়োজনে মেতে উঠেছেন। এই মুহূর্তে ঝাড়গ্রামের কোনও হোটেলে আর বিন্দুমাত্র জায়গা নেই থাকার। ঝাড়গ্রামের চিড়িয়াখানায় ভ্রমণ পিপাসু মানুষের সবচেয়ে বেশি ভিড়।
তবে, ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের মনের মধ্যে করোনা বেশ কিছুটা কাজ করেছে। জঙ্গলমহল বেড়াতে এসে এমনই মন্তব্য করলেন বেশ কিছু পর্যটক। তাদের বক্তব্য, ভিন রাজ্যে গেলে তাদের করোনা আতঙ্কের খপ্পড়ে হয়তো পড়তে হবে। তাই তারা এবারে শীতের আমেজ নিতে ভিন রাজ্যের পাহাড় বা সমুদ্র না গিয়ে একদম বাংলার জঙ্গলমহলকেই বেছে নিয়েছেন। জঙ্গলমহলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে সমস্ত বিধি মেনেই তারা এক দিকে ২০২০ বিদায় দিয়ে ২০২১ কে স্বাগত জানাচ্ছেন।