আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ১ ডিসেম্বর:
শীল ভদ্র দত্তের সঙ্গে দেখা করতে এসে হতাশ হয়ে ফিরলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শীলভদ্র দত্ত বাড়িতে না থাকায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে দেখা হল না ব্যারাকপুরের বেসুরো তৃণমূল বিধায়কের।
ব্যারাকপুর এর তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্তের বাড়িতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেখা করতে আসেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। যদিও সেই সময় শীলভদ্রবাবু বাড়িতে ছিলেন না। শীলভদ্র দত্তের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এরপর সাংবাদিকদের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, দীর্ঘ ৪৫ বছরের বন্ধু শীলভদ্র। তার সাথে দেখা করতেই এখানে আসা, ওর যদি কোনও ক্ষোভ থাকে দলীয় স্তরে প্রশমনের চেষ্টা করা হবে। আমি বন্ধু শীলভদ্র দত্তের কাছে এসেছিলাম। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিনই পিকের টিম শীল ভদ্র দত্তের সঙ্গে দেখা করে তার মান ভঞ্জনে ব্যর্থ হয়। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও কার্যত নিরাশ হলেন শীল ভদ্র দত্তের সঙ্গে দেখা করতে এসে। ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীল ভদ্র দত্তের ক্ষোভ তৃণমূলকে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলেছে। পিকের টিমের সদস্য থেকে শুরু করে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সকলেই চেষ্টা করছেন শীল ভদ্র দত্তের সঙ্গে কথা বলে তার ক্ষোভ মেটানোর। তবে ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীল ভদ্র দত্ত এখনো অনড় তার সিদ্ধান্তে। তিনি এক প্রকার জানিয়েই দিয়েছে আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে কোনও সম্পর্কে তিনি জড়াবেন না।
আজ দুপুরে শীলভদ্র দত্তের ব্যারাকপুরের অফিসে এসে বৈঠক করেন পিকের প্রতিনিধি। তবে, সেই বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে বলে খবর। মাত্র কিছুক্ষণ এই বৈঠিক চলে। বৈঠক শেষ হওয়ার পর শীলভদ্র দত্ত জানিয়েছেন, যে সিদ্ধান্ত একবার নিয়ে ফেলেছেন, তা থেকে সরে আসার প্রশ্ন নেই। তিনি আরো জানান, দলের একাংশ যেভাবে বেসুরোদের বিরুদ্ধে কথা বলছে তাতে মনে হচ্ছে তৃণমূলের একাংশ চাইছে যারা বেসুরো গাইছে তারা দল থেকে চলে যাক।