গাইঘাটা পঞ্চায়েতে ত্রাণের দাবি জানাতে গেলে বাধা, মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হল বিজেপি কর্মীদের, আহত ৫

সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ৪ জুন: আমফানের ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ ও ত্রিপল পাচ্ছে না। এছাড়া ভুল তথ্য দিয়ে বিরোধী দলনেতাকে দিয়ে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ জানাতে পঞ্চায়েতে গেলে বিজেপি সদস্যদের গুন্ডা বাহিনী দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। পঞ্চায়েতে ঢুকলে পা কেটে নেওয়ার হুমকি দেয় গুন্ডবাহিনী। এমনকি পরে মিটিং চলাকালীন পঞ্চায়েতের বাইরে থাকা বিজেপি সমর্থকদের বাঁশ লাঠি ও লোহার রড দিয়ে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয়। তাতে মহিলা সহ কয়েকজনের মাথা ও মুখ ফেটে যায়। গুরুতর আহত হয় পাঁচ বিজেপি সমর্থক। এদের ঠাকুরনগর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটা থানার জ্বলেশ্বর ২ নম্বর পঞ্চায়েতে।

গাইঘাটার জ্বলেশ্বর পঞ্চায়েত ২ অঞ্চলের রামপুর, আঙুলকাটা সহ একাধিক গ্রামে আমফানের ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ ও ত্রিপল পাচ্ছে না। এছাড়া ভুল তথ্য দিয়ে বিরোধী দলনেতাকে দিয়ে সই করিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ জানাতে পঞ্চায়েতে গেলে বিজেপি সদস্যদের গুন্ডা বাহিনী দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। পঞ্চায়েতে ঢুকলে পা কেটে নেওয়ার হুমকিদেয় গুন্ডবাহিনী। এই ঘটনার প্রতিবাদে সকাল ১১টা থেকে দু’ঘন্টা যশোর রোড অবরোধ করে বিজেপি। ঘটনাস্থলে আসেন জয়েন্ট বিডিও, তাঁর আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় বিজেপি সমর্থকরা। এরপর বিজেপি সদস্যদের নিয়ে জয়েন্ট বিডিও ও পঞ্চায়েত প্রধান মিটিং করেন। সেই সময় পঞ্চায়েত অফিসের বাইরে থাকা বিজেপি সমর্থক ও গৃহহারা গ্রামবাসীদের উপর চড়াও হয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। গ্রামবাসীদের বাঁশ, লাঠি ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।

বিজেপি মণ্ডল সভাপতি বিশ্বজিত ঘোষ ও জেলার যুবনেতা শুভঙ্কর জ্যোতি সাহা বলেন, করোনার কারণে গ্রামবাসীরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে আমফানের দাপটে গৃহহীন হাজার হাজার মানুষ। ক্ষতিপূরণের তালিকা জমা দিলেও তা বেছে বেছে তৃণমূল সমর্থকদের দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগ জানাতে পঞ্চায়েতে গেলে বিজেপি সমর্থকদের মারধর করা হয়। আমফানের দাপট ও কালবৈশাখী ঝড়ে ওই অঞ্চলে প্রায় দুইশো কাঁচা বাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে। এখনও প্রচুর মানুষ খোলা আকাশের নিচে বাস করছে। অথচ পঞ্চায়েত প্রধান গদাধর দাস ত্রাণ ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে রাজনীতি করছেন। গুন্ডা লাগিয়ে বিরোধী সমর্থকদের মারধর করছেন।

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান গদাধর দাস বলেন, কোনও ঝামেলা পঞ্চায়েতে হয়নি। মারধরের ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *