সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ৭ মার্চ: শুশুনিয়া পাহাড়ে ফের আগুন লাগায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ফি বছর আগুন লাগার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিক ও পরিবেশবাদীরা।
কোনো দুষ্ট চক্র এই ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ প্রকাশ করছেন তারা। বৃহস্পতিবার সকালে দাউ-দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায় শুশুনিয়া পাহাড়ে। এই খবর পেয়ে আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন বন দফতরের কর্মীরা। কিন্তু শুক্রবারেও আগুন সম্পূর্ণ নেভানো সম্ভব হয়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে যে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পাহাড়ের একাংশে মাটিতে পড়ে থাকা ঝরা শুকনো পাতায় আগুন লেগে যায়। ধোঁয়ায় কার্যত ঢেকে যায় গোটা পাহাড়। তাদের বক্তব্য, দু’বছর যেতে না যেতেই ফের আগুন লাগলো শুশুনিয়া পাহাড়ে। এবিষয়টি তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ে শেষবার আগুন লেগেছিল। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল পাহাড়ের বিস্তীর্ণ অংশে। সেবার আগুন এতটাই ভয়াবহ আকার নিয়েছিল যে, সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে বন দফতরকে লাগাতারভাবে তিন চার দিন চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়েছিল। এর পূর্বে গত কয়েক বছরে প্রতিবছরই পাহাড়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। গত ২০২৪ সালে পাহাড়ের আগুন ভয়াবহ আকার নেওয়ার পর বন দফতরের লাগাতার নজরদারি এবং একাধিক ব্যবস্থা নেওয়ায় গত বছর শুশুনিয়া পাহাড়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেনি। তবে দু’ বছর যেতে না যেতেই বৃহস্পতিবার সকালে পাহাড়ের পূর্ব অংশে ফের আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। পাহাড়ের গায়ে পড়ে থাকা শুকনো পাতায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় শুশুনিয়া পাহাড়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় বন কর্মীরা। ব্লোয়ার দিয়ে পাহাড়ের গায়ে পড়ে থাকা শুকনো পাতার স্তূপকে বিচ্ছিন্ন করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করে বন কর্মীরা। কিন্তু আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
এই অগ্নিকান্ডের জেরে পাহাড়ে থাকা বিভিন্ন জীবজন্তু, সরীসৃপ ও বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ ও জীব বৈচিত্র নষ্ট হবে বলে আশঙ্কা পরিবেশবাদীদের। সে কারণেই আগুন লাগার কারণ এবং এই ঘটনায় কোনো দুষ্ট চক্র জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা।