আমাদের ভারত, ১৭ জুন: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের পর এক দমন-পীড়নের রাজনীতির পরেও নেতাজি ও ক্ষুদিরামের আদর্শ অনুসরণ করা বাঙালি কোনদিনও মমতার সামনে মাথা নত করেনি, আজও করবে না।”
মঙ্গলবার এই ভাষায় সামাজিক মাধ্যমে তোপ দাগলো রাজ্য বিজেপি। তারা লিখেছে,
“1️⃣গতকাল খিদিরপুরে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্ব হারানো মানুষজন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রশ্ন করেন—সরকারি গাফিলতির কারণে এত বড় ক্ষতির জন্য মাত্র ₹৫০,০০০ ক্ষতিপূরণ কীভাবে যথেষ্ট হতে পারে? তাঁর ঔদ্ধত্যপূর্ণ জবাব ছিল—“এ, তুমি কে ভাই?”
2️⃣. মনে পড়ে ডঃ শ্যামাপদ গড়াইকে? ২৬ মে, ২০১১—ক্ষমতায় আসার কিছুদিনের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একশোরও বেশি অনুচর নিয়ে আচমকা ঢুকে পড়েন বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজিতে, যার ফলে হাসপাতালের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। সে সময়কার ডিরেক্টর ডঃ শ্যামাপদ গড়াই এই অনধিকার প্রবেশের প্রতিবাদ করেন, রোগীদের স্বার্থে। প্রতিক্রিয়া? সেই রাতেই জরুরি বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী। কর্তব্যরত থাকায় বৈঠকে যোগ দিতে না পারায় তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয় এবং পরবর্তীতে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।
3️⃣. শীলাদিত্য চৌধুরী -পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলপাহাড়ির এক জনসভায় রাসায়নিক সারের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন। তার ফল? সভার মঞ্চ থেকেই তাঁকে “মাওবাদী” বলে আখ্যা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
4️⃣. তানিয়া ভরদ্বাজ -এক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নোত্তর পর্বে, পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণকাণ্ডকে “ছোট ঘটনা” বলে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবাদ করে তানিয়া ভরদ্বাজ, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য মদন মিত্রের অশালীন ও নারী-বিদ্বেষী মন্তব্যের প্রসঙ্গও তোলেন। উত্তর না দিয়ে, তানিয়াকে “মাওবাদী এজেন্ট” বলে সভা ত্যাগ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
5️⃣. অম্বিকেশ মহাপাত্র -শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক একটি ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন আঁকায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে—তিনি নাকি মুখ্যমন্ত্রীকে “ভ্যানিস ” লিখে হত্যার ষড়যন্ত্র করছেন! এই অজুহাতে তাঁকে পুলিশি হেনস্থার মুখোমুখি হতে হয়।
6️⃣. টুম্পা কায়াল ও মৌসুমি কায়াল-কামদুনি গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর নিষ্ক্রিয়তা ও অবহেলার বিরুদ্ধে মুখ খোলেন টুম্পা ও মৌসুমি কায়াল। তাঁদের প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের “মাওবাদী” বলে চিহ্নিত করেন এবং সাধারণ মানুষের দিকেই আঙুল তোলেন।”