কৃষকদের হাঙ্গামায় রাজধানীর পরিস্থিতি সামাল দিতে আরো ১৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন

আমাদের ভারত, ২৬ জানুয়ারি:প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন রাজধানীতে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল নিয়ে তাণ্ডবের পরিস্থিতি সামাল দিতে একেবারেই হিমশিম অবস্থা পুলিশের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকরা এই বিষয়ে টানা দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন। রাজধানীর পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবগত করান স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা। বিকেল পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় আরও ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে রাজধানীর একাধিক এলাকায় তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। সিঙ্ঘু টিকরি ও গাজীপুর সীমান্তে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ছাড়াও রাজধানীর বুকে দাপিয়ে ঘুরে বেড়ায় কৃষকরা। আইপিও এলাকাতেও পুলিশের বাধা ভেঙে তোলপাড় করেছে কৃষকরা। পুলিশ বাধা দিতে গেলে তাদের উপর চড়াও হয়েছে আন্দোলনকারীরা। এমনকি লালকেল্লায় পুলিশের বাধা ভেঙে ভিতরে ঢুকে কেল্লার গম্বুজে পতাকা লাগিয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।

বিকেলেও দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় তোলপাড় করেছে কৃষকরা। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে আরোও ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ কোম্পানি সিআরপিএফ ও ৫ কোম্পানি অন্যান্য বাহিনী মোতায়েন করা হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বৈঠকে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দিল্লি পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন লালকেল্লা ও আইটিও রাস্তা খালি করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করা হবে। মিছিলের আগে কৃষকদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছিল। বৈঠকে কৃষকরা পুলিশের নির্দিষ্ট করা রুটে যেতে রাজি হলেও শেষ পর্যন্ত তা তারা মানেননি। বহু পুলিশ এতে আহত হয়েছেন। কৃষকদের কাছে অনুরোধ পুলিশের নির্দিষ্ট করে দেওয়া পথ ধরে ফিরে যান।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং আহ্বান জানিয়েছেন, যারা প্রকৃত কৃষক তারা রাজধানী থেকে ফিরে যান। দিল্লির পরিস্থিতি দেখে অবাক হয়েছি। কিছু লোক যারা হাঙ্গামা করেছে তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। এতদিন কৃষকরা শান্তিপূর্ণভাবে যে আন্দোলন করেছিলেন তাকে কালিমালিপ্ত করেছে আজকের ঘটনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *