আমাদের ভারত,২ মার্চ:বুক পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে নিয়েছেন নিজের শরীর। মাটির ওপরে রয়েছে শুধু মুখটুকু। এই অবস্থাতেই রয়েছেন ২১ জন । তার মধ্যে রয়েছেন পাঁচজন মহিলারাও। সকলেই রাজস্থানের কৃষক। এভাবেই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা। তাদের অভিযোগ গৃহনির্মাণ প্রকল্পের জন্য তাদের চাষের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। জয়পুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি তাদের জমি কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ। তার প্রতিবাদে জমি সমাধি সত্যাগ্রহ আন্দোলনে নেমেছে তারা।
এই ঘটনায় প্রতিবাদী কৃষকরা দাবি করেছে তাদের জমি দখল করে সরকারি প্রজেক্ট হবে না। জমি যদি নিতে হয় তাহলে সংশোধিত জমি আইন মেনে নিতে হবে। সরকারকে উপযুক্ত পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই তারাই জমি সমাধি সত্যাগ্রহ করেছিলেন জমি দখলের প্রতিবাদে। কিন্তু রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় চার দিনের মাথায় তাদের অবস্থান উঠে গিয়েছিল। সরকার কথা দিয়েছিল তাদের দাবি খতিয়ে দেখা হবে।
কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও সরকারের তরফে কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি। তাই একই পদ্ধতিতে জমি সমাধি সত্যাগ্রহ শুরু করেছেন তারা। রাজস্থানের নিন্দার জমি বাঁচাও যুব কিষাণ সমিতির নেতা নগেন্দ্র সিং দেবনাথ বলেন, সরকার দাবি না মানলে এভাবেই সমাহিত হবেন কৃষকরা। জমি সুরক্ষার অধিকার যতক্ষণ না নিশ্চিত করছে সরকার ততক্ষণ চলবে এই আন্দোলন।
Rajasthan: Farmers stage 'zameen samadhi satyagraha' (half-bury their bodies in the ground) to protest against provisions of acquisition of their land by Jaipur Development Authority (JDA), in Nindar village of Jaipur. pic.twitter.com/3QhDieaDdX
— ANI (@ANI) March 2, 2020
তবে এটাই প্রথম নয় এর আগেও ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে রাজস্থানের এই কৃষকদের তেরোশো বিঘার বেশি জমি অধিগ্রহণের অভিযোগ উঠেছে জয়পুর ডেভলপমেন্ট অথরিটির বিরুদ্ধে। তখনও প্রতিবাদ জানিয়ে অনশন করেছিল কৃষকরা। এর পরে স্থানীয় আদালতে হস্তক্ষেপে ৬০০ বিঘা জমি রেখে বাকিটা ফিরিয়ে দেয় সরকার। ৬০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করে সরকার। কিন্তু এই অর্থ নিতে চাইনি কৃষকরা। তাদের দাবি ছিল উপযুক্ত দামের চেয়ে অনেক কম টাকা দিয়ে তাদের ঠকানো হচ্ছে। সেই থেকে শুরু বিতর্ক। আবার নতুন করে জমি অধিগ্রহণের পদ্ধতি শুরু হতেই সত্যাগ্রহের পথে হেঁটেছেন কৃষকরা।
জয়পুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ২০১১ সালে গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের কথা ঘোষণা হয়েছিল। পরিকল্পনা রয়েছে ১০ হাজার বাড়ি তৈরি হবে এই প্রকল্পের আওতায়। কিন্তু নয় বছর হয়ে গেলেও এই সমস্যার সমাধান হয়নি।