আমাদের ভারত, ৩০ ডিসেম্বর:বুধবার ষষ্ঠ বারের জন্য কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এদিনের বৈঠকেও সমাধান সূত্র বের হয়নি। কিন্তু কৃষকদের ৪টির দাবির মধ্যে ২টি দাবিতে সহমত হয়েছে সরকার। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি মেনে নেয়নি কেন্দ্র। একই সঙ্গে কৃষকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনার জন্য একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে সরকার।কৃষকরা যদি চান তাহলে সেই কমিটির সব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবে বলে জানানো হয়েছে। আগামী ৪ জানুয়ারি ফের বৈঠকে বসবে দুপক্ষ।
সরকার জানিয়েছে কৃষি আইন আনতে যে সময় লেগেছে ততটাই সময় লাগবে প্রত্যাহার করতে। আজ আন্দোলনকারী কৃষকদের আইন নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। কৃষকদের দাবি ছিল কৃষিক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিলে যে ভর্তুকি দেওয়া হতো তা বজায় রাখতে হবে। সূত্রের খবর সেই দাবি সরকার মেনে নিয়েছে। কিন্তু এমএসপি নিয়ে কোনোরকম আইনি নিশ্চয়তা দিতে নারাজ কেন্দ্র। তবে বিদ্যুৎ বিলের ভর্তুকিও এয়ার কোয়ালিটি অর্ডিন্যান্স ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে সরকার।
আন্দোলনকারীদের দাবির উত্তরপ্রদেশের মত অন্য রাজ্যে নয়া কৃষি আইন লাগু করার পর ফসলের দাম কোন কোন ক্ষেত্রে ৫০% পর্যন্ত পড়ে গিয়েছে। এমএসপির নিচের দামে ফসল বিক্রি হচ্ছে। কৃষক নেতা রাকেশ সিং টিকায়েত জানিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের দাবি পূরণ হচ্ছে ততক্ষণ আমরা দিল্লিতেই বসে থাকব। দিল্লি সীমান্তেই আমরা এবার নববর্ষ পালন করব।”
অন্যদিকে বুধবারের বৈঠকে সরকার একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। সেই কমিটিতে সব পক্ষের প্রতিনিধি থাকবেন। কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধি ও সরকারের প্রতিনিধিরা থাকবেন। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সরকারের তরফে বৈঠকে নাকি বলা হয়েছে কোন একটি আইন প্রত্যাহার করা দীর্ঘকালীন প্রক্রিয়া। অল্প সময়ের মধ্যে তা করা যায় না। সেই জন্যই তারা এই কমিটি করার প্রস্তাব দিয়েছেন।নয়া কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের যে বিক্ষোভ রয়েছে তা কমিটিতে আলোচনা করে একটি সমাধান সূত্র বের করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিন কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর,পীযূষ গোয়েল ও সোমপ্রকাশ।