আমাদের ভারত, ১৫ জানুয়ারি: দেশের শীর্ষ আদালতের
নির্দেশে কৃষি আইন আপাতত কার্যকর হচ্ছে না। আইন কার্যকরে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। তার সাথছ সমস্যা মেটাতে কমিটি গঠন করেছে শীর্ষ আদালত। এর মধ্যেই নবমবার কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কৃষক নেতারা আলোচনাতে বসলেও আবারো সেই আলোচনার নিষ্ফলা থেকে গেল। আগামী ১৯ জানুয়ারি আবারোও এক দফা আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। ওই একই দিন থেকে আবার সুপ্রিমকোর্ট নিযুক্ত কমিটি ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করবে বলেও জানা গেছে।
১৯ জানুয়ারি ও যদি বৈঠক হয় সেটি কেন্দ্র ও কৃষকদের মধ্যে শেষ বৈঠক বলেই মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে কৃষক সংগঠনের নেতারা বৈঠকে বসেছিলেন। কিন্তু আগের আটটি বৈঠকের মতো এই বৈঠক থেকেও কোনো সমাধান সূত্র বের হয়নি। তবে বৈঠকে কৃষক নেতাদের বক্তব্য কোন মধ্যস্থতাকারী নয় তারা সরাসরি কেন্দ্রের সাথেই কথা বলতে চান। তারা এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান।
সেপ্টেম্বরে তিনটি কৃষি আইন সংসদে পাশ হয়। আর তারপর থেকেই এই আইনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলাগুলির শুনানি চলছে। সে শুনানিতে সুপ্রিমকোর্ট জানিয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই তিনটে আইনের কার্যকর করা যাবে না। একইসঙ্গে সমস্যার সমাধানে একটি চার সদস্যের কমিটিও গঠন করে দিয়েছে আদালত। যদিও কমিটি গঠনের পর কৃষক নেতারা জানিয়েছেন সেই কমিটি তারা মানবেন না। তাদের অভিযোগ কমিটিতে যারা রয়েছেন তারা ইতিমধ্যেই কৃষি আইনের সমর্থনে একাধিক জায়গায় নিজেদের মত প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে ওই চার সদস্যের মধ্যে বৃহস্পতিবার কমিটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের প্রধান ভূপেন্দর সিং মান। ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ টিকায়েত বলেন তিনটি আইন প্রত্যাহারের পরিকল্পনা তৈরি করুক এবং কৃষকদের ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নিশ্চয়তা দিক। সমস্যা মেটাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তারা।