এনআরসি আতঙ্ক! উত্তর দিনাজপুরে আত্মহত্যার চেষ্টা কৃষকের

আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ২৪ ডিসেম্বর:
এনআরসি আতঙ্কে আত্মহত্যার চেষ্টা করল এক কৃষক। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুর জেলার বিষ্ণুপুরে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ সইফুর রহমান।

তাঁর আসল নাম সইফুর রহমান, ভোটার কার্ডে নাম আছে রহমান সইফুর। কি করে নাম ঠিক করবেন সেই চিন্তাই তাকে গ্রাস করছিল। এনআরসি আতঙ্কে ভুগছিলেন দিনের পর দিন। তিন মেয়ে এক ছেলে ও স্ত্রী নিয়ে সংসার তার। এনআরসি হলে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে এই আতঙ্কে বিষ পান করে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের বিষ্ণুপুর গ্রামপঞ্চায়েতের আশমানহাট গ্রামের বাসিন্দা সইফুর রহমান। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সইফুর রহমানকে রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিন মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রী নিয়ে কৃষিকাজ করে দিন যাপন করেন উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের বিষ্ণুপুর গ্রামপঞ্চায়েতের আশমানহাট গ্রামের বাসিন্দা সইফুর রহমান। কিন্তু কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের সিটিজেন অ্যামান্ডমেন্ড আইন ও এনআরসি নিয়ে চরম উদ্বেগে ছিলেন তিনি। তার নাম সইফুর রহমান কিন্তু তাঁর ভোটার কার্ডে নাম রয়েছে রহমান সইফুর। অনেক চেষ্টা করেও তাঁর কাগজপত্র ঠিক করতে পারেননি তিনি। কেন্দ্রীয় সরকারের এনআরসি চালু হলে তাদেরকে এদেশের ভিটেমাটি ছেড়ে চলে যেতে হবে এই আশঙ্কায় ছিলেন তিনি। সইফুর তাঁর পরিবারের কাছেও এই আশঙ্কার কথা বলেন। পরিবার তাঁকে আশ্বস্ত করলেও তিনি এতটাই
এনআরসি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে মানসিক অবসাদে ভুগে আজ সইফুর বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বাড়ি থেকে বিষের শিশি নিয়ে নিজের জমিতে গিয়ে সেই বিষ পান করেন সইফুর। তাঁর ছেলে বাবাকে এই অবস্থায় দেখতে পেয়ে ছুটে এসে খবর দেয় মাকে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত সইফুরকে উদ্ধার করে প্রথমে হেমতাবাদ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে। হেমতাবাদ স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে গুরুতর অসুস্থ সইফুর রহমানকে রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ সইফুর রহমান জানান, আমার কাগজপত্র ঠিক নেই। এনআরসি হলে কি হবে এই আতঙ্কে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।

এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সইফুর রহমানের মেয়ে শবনম জানান, আমরা বাবাকে বুঝিয়েছিলাম এনআরসি হলেও তাদের কোনও সমস্যা হবেনা। কিন্তু বাবা আতঙ্কগ্রস্ত হয়েই এই কাজ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *