আমাদের ভারত, ২৭ মে: জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসে লাগাম টানতে এবার কড়া নীতি নিল কেন্দ্র সরকার। জঙ্গি পরিবারের কোনো সদস্য এবার থেকে আর সরকারি চাকরি পাবে না। এই একই নিয়ম লাগু হবে, যদি কেউ পাথর ছোঁড়ার ঘটনাতে যুক্ত থাকে তার ওপরেও। পিটিআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, উপত্যকায় শুধুমাত্র জঙ্গিদের শেষ করাই নয়, মোদী সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার সন্ত্রাসের পরিবেশ বদলে ফেলতে হবে। অমিত শাহ বলেন, “আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি কাশ্মীরে যদি কেউ কোন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকে সেক্ষেত্রে তার পরিবারের সদস্যরা সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে। শুধু তাই নয়, কোন ব্যক্তি যদি পাথর ছোড়ার ঘটনায় যুক্ত হয় তার পরিবারের সদস্যরা সরকারি চাকরি পাবে না। কিছু মানবাধিকার সংগঠন সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকার জয়ী হয়েছে।”
একই সঙ্গে অমিত শাহ জানান, যদি কেউ আগে সরকারি চাকরি পেয়ে থাকেন এবং তারপর তার পরিবারের কোনো সদস্য জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন সে ক্ষেত্রে ওই আধিকারিককে ছাড় দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, আগে জম্মু-কাশ্মীরে কোন জঙ্গির মৃত্যু হলে বিশাল জৌলুসের সঙ্গে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হতো। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় আসার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি সমস্ত ধর্মীয় নিয়ম মেনে জঙ্গির দেহ সৎকার হবে ঠিকই তবে তা অন্য কোন জায়গায়।
সরকার জঙ্গিদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরাতে যে আগ্রহী সেই বার্তাও দিয়েছেন তিনি। অমিত শাহ জানিয়েছেন, যখন কোন জঙ্গিকে নিরাপত্তা বাহিনী ঘিরে ফেলে তখন তাকে প্রথমে আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হয়। তার মা, স্ত্রী কিংবা পরিবারের কাছের সদস্যকে সেখানে আনা হয়। তাদের মাধ্যমে জঙ্গিকে আত্মসমর্পণের আবেদন করা হয়। যদি সে আত্মসমর্পনে রাজি না হয় সে ক্ষেত্রে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হয়।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এনআইএর কড়া পদক্ষেপের জেরে উপত্যকায় টেরর ফান্ডিং পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের কড়া নীতির জেরে উপত্যকায় সন্ত্রাসের ঘটনা আগে তুলনায় অনেক কমেছে। তাঁর দাবি, ২০১৮ সালে যেখানে ২২৮টি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল জম্মু ও কাশ্মীরে, ২০২৪ সালে তা প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ কমে গিয়েছে।