আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর : আদালতের মধ্যেই স্ত্রীর হাতে বেধড়ক মার খেলেন প্রাক্তন এক সেনা কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি মহকুমা আদালতের ক্যাম্পাসের মধ্যে।
আজ দুপুরবেলা প্রাক্তন এক সেনা কর্মী মৃন্ময় পন্ডা তার মাকে সঙ্গে নিয়ে কাঁথি মহকুমা আদালতে হাজিরা দিতে এসে বেধড়ক মার খেলেন নিজের স্ত্রী কাকলি পন্ডার হাতে। মৃন্ময়বাবুর প্রথম স্ত্রী কাকলি পন্ডা। কাকলি পন্ডার অভিযোগ, মৃন্ময় পন্ডা কর্মসূত্রে ভিন্ রাজ্যে গিয়ে আরো একটি বিয়ে করেছেন। সেই কারনে কাকলি দেবী নিজের একটি পুত্র সন্তানকে মানুষ করার জন্য কাঁথি মহকুমা আদালতে ভরণপোষণের মামলা দায়ের করেন।
আজ সেই মামলায় হাজিরা দিতে এসে আদালত চত্বরের মধ্যেই কাকলি পন্ডা স্বামী মৃন্ময় পন্ডাকে মারধর করতে থাকেন। অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারক চোখের সামনে এই ঘটনা ঘটতে দেখে কাঁথি থানায় ফোন করেন। খবর পেয়ে কাঁথি থানার পুলিশ এসে মৃন্ময়বাবু, কাকলি দেবী ও তার বোনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় গিয়ে দুইজন পরস্পরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেন।
কাকলি দেবী বলেন, আমার স্বামী মৃন্ময় পন্ডা আমাকে দেশের বাড়িতে রেখে কর্মস্থলে আরো একজন পাঞ্জাবি মহিলাকে বিয়ে করেছেন। আমি জানতে পেরে কাঁথি মহকুমা আদালতে মামলা করি। আমাকে ভরণপোষনের জন্য আট হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উনি তা না দেননি। আজকে আদালতে হাজিরা দিতে আসতে দেখে আমি আক্রোশ বসত তাকে হেনস্থা করি। মৃন্ময়বাবু বলেন, আমাকে আমার স্ত্রী আদালতের ক্যাম্পাসের মধ্যেই মারধর করে।