Sukanta, Delhi, Mamata, দু’কান কাটাদের লজ্জা লাগে না! সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে মু্খ্যমন্ত্রী ছাড়া সবার লজ্জা লাগে, দিল্লিতে গিয়ে তোপ সুকান্তর

আমাদের ভারত, ১৮ ফেব্রুয়ারি: দিল্লি থেকেও এবার সন্দেশখালি নিয়ে তোপ ডাকলো কেন্দ্রীয় বিজেপি। ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় অধিবেশনে সন্দেশখালির ঘটনাকে লজ্জাজনক বলে আখ্যা দিয়ে মমতা সরকারের তুলোধোনা করা হয়েছে। প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “এটা লজ্জারই বিষয়। শুধু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা লাগে না।” অন্যদিকে শিবু হাজরার গ্রেফতারিকে মুখরক্ষা তথা আই ওয়াস বলেই দাবি করেছেন তিনি।

শনিবার বিজেপির জাতীয় সম্মেলনে রাজনাথ সিং সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলে বলেন, তীব্রতম ভাষায় এ ঘটনার নিন্দা করা উচিত। এরপর রবিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের শাসক দলের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, শুধু আমরা একে লজ্জাজনক বলছি এমন তো নয়। আজ মায়াবতী, যিনি অন্যতম বিরোধী নেত্রী, তিনি পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখতে বাধ্য হয়েছেন যে, ঘটনা লজ্জাজনক। কার লজ্জা লাগবে না? একমাত্র পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া সবার লজ্জা লাগে। নির্লজ্জ বেহায়া দু’কান কাটা যারা, তাদের লজ্জা লাগবে না।”

সন্দেশখালির জবর দখল করা জমি ফেরতের প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, জমি তো ফেরত দিতেই হবে, কিন্তু এত বছর ধরে যে জমি দখল করে রাখল তার ক্ষতিপূরণ কে দেবে? জমিতে ধান চাষের পরিবর্তে মাছের ভেরি হলো, এখান থেকে পয়সা কামালো শিবু হাজরা আর শেখ শাহজাহান। সবচেয়ে বড় কথা, শিবু হাজরা গ্রেপ্তার হয়েছে, উত্তম সর্দার গ্রেফতার হয়েছে, কিন্তু শেখ শাহজাহান গ্রেপ্তার হচ্ছে না কেন। মহিলাদের অধিকাংশ অভিযোগ তো শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে।

শিবু হাজরার বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা রুজু হওয়াকে কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, এতদিন বারবার আমরা অভিযোগ করে এসেছি। ডিজি সাংবাদিক সম্মেলন করার আগে পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র থেকে শুরু করে সবাই বলছিল ওরা
(বিজেপি) কতকগুলি মিথ্যে কথা বলছে। এই কথাগুলি সব বানিয়ে বলা হচ্ছে, এর কোনো যৌক্তিকতা নেই। পার্টিতে এর কোনো অস্তিত্ব নেই। এখন আবার তাকেই গণধর্ষণের মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এটা মেকআপ করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তা বোঝাই যাচ্ছে। ম্যানেজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে, মানুষের যে ক্ষোভ, বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি যে আন্দোলন করেছে, তাকে ম্যানেজ করার জন্য, মুখ রক্ষা করার জন্য এসব করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *