জে মাহাতো, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ১০ জুন: ডেবরা সুপার স্পেশালিটি ও করোনা হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট ওয়ার্ডে কর্তব্যরত কোম্পানির চুক্তিভিত্তিক কর্মী সঞ্জয় ভট্টাচার্য গতকাল রাতে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। বছর ৩৫-এর যুবক সঞ্জয় মঙ্গলবার রাতে বিষ খায় বলে জানা গেছে। প্রথমে তাকে ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়। পরে অবশ্য অবস্থার অবনতি হলে গভীর রাতেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। এই মুহূর্তে তার অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল বলে জানাগেছে।
পরিবারের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের তরফে মানসিক চাপ দেওয়া হচ্ছিল, সেজন্যই আত্মহত্যা করেছে। এই বিষয়ে ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার এবং ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ আরিফ জানিয়েছেন, “এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে। তবে, উনি সরাসরি হাসপাতালের কর্মী নন, যে কোম্পানি দায়িত্বে আছে, তাদের কর্মী। তাদের সুপারভাইজারের সঙ্গে আমাদের সরাসরি কথা হয়, কাকে কোন ওয়ার্ডে বা কোন কাজে দেওয়া হবে। স্বাভাবিকভাবেই এই বিষয়ে কোম্পানির সঙ্গে ওই যুবকের মতানৈক্য হয়েছিল। কিন্তু, এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। এর জন্য আত্মহত্যা করলে অতিমারি পরিস্থিতিতে মানুষের জন্য সেবা করবে কিভাবে। আমরা চিকিৎসক স্বাস্থ্য কর্মীরা শারীরিক-মানসিক সমস্ত দিক দিয়ে চাপের মধ্য দিয়েই দীর্ঘ দু’বছর ধরে কাজ করে চলেছি। কিন্তু এরকম কঠিন পরিস্থিতিতে সামান্য কারণে রীতিমতো হুমকি দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা আসলে বাকি সকলকেই চাপে ফেলে দেওয়া। আমরা পুরো ঘটনা ডেবরা থানা এবং জেলা স্বাস্থ্য ভবনে জানিয়েছি।”