পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ মার্চ: শ্রমিক সঙ্কটের কারণে চন্দ্রকোনার একাধিক হিমঘরের দরজা বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন আলু চাষিরা।
পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের চন্দ্রকোনা এলাকা আলুর গড় নামে পরিচিত। চন্দ্রকোনায় একাধিক হিমঘর রয়েছে। বর্তমানে আলু তোলা শুরু হয়েছে। আলুর দাম না থাকায় চাষিরা আলু হিমঘরে সংরক্ষণের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। হিমঘরে আলু নিয়ে গিয়ে কৃষকরা পড়ছেন বিপাকে। হিমঘরে আলু রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কৃষকদের। চন্দ্রকোনার বেশ কয়েকটি হিমঘর আলু সকালে নিলে বিকালে নিচ্ছে না। চাষিদের দাবি, হিমঘরে আলু নিয়ে গিয়ে দেখছি হিমঘরের দরজা বন্ধ। যেতে হচ্ছে অন্য হিমঘরে, সেখানে গিয়েও একই অবস্থা। আবারো অন্য হিমঘরের খোঁজ করে দূরে নিয়ে গিয়ে আনলোড করতে হচ্ছে আলু, আর তাতেই বাড়ছে খরচ। হিমঘর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে জানান, পর্যাপ্ত শ্রমিক না থাকায় আলু সেড থেকে হিমঘরের চেম্বারে লোড করতে সময় লাগছে, যে কারণে তাদের গেট বন্ধ রাখতে হচ্ছে। পাশাপাশি যে সমস্ত আলু হিমঘরে মজুতের জন্য আসছে তা ৫০ কিলোর থেকে অনেক বেশি সেই কারণে শ্রমিকরা তা বহন করতে পারছে না, তারা কাজ ছেড়ে দিচ্ছে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল কোলস্টোর অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সহ সভাপতি শেখ জিয়াবুর রহমান জানান, রমজান মাস চলছে। বেশিরভাগ শ্রমিক মুসলিম সম্প্রদায়ের। তাই শ্রমিক কম থাকায় এই সমস্যা হচ্ছে। আগামী সোমবার থেকে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।