Jhargram, কুড়ুল নিয়ে প্রতিবেশীর বাড়ি হামলা মদ্যপ যুবকের, কিশোরীকে এলোপাতাড়ি কোপ, ঝাড়গ্রামে জখম ৩

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ৩০ আগস্ট: রাতের বেলায় হঠাৎ একটি বাড়িতে ঢুকে নাবালিকাদের উপর এলোপাথাড়ি কুড়ুল দিতে কোপ মারার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২ নাবালিকা সহ তিন জন। অপরদিকে উত্তেজিত গ্রামবাসীর হাতে মার খেয়ে মৃত্যু হয় যুবকের। ঘটনাটি ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনী থানার অন্তর্গত কেশরীপুর গ্রামের। মৃত যুবকের নাম সনাতন হাঁসদা ওরফে রাহুল (৩২)।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ন’টার সময় কুড়ুল নিয়ে প্রতিবেশী সম্পর্কিত এক মামা হঠাৎ ওই নাবালিকাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। সেই সময় দু’জন নাবালিকা সহ তার মা বাড়িতে ছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই এলোপাথাড়ি কুড়ুল দিয়ে কোপ মারতে শুরু করে ওই মদ্যপ যুবক। তাদের চিৎকার শুনে ছুটে আসে গ্রামবাসীরা। বাড়ির দরজা ভেঙ্গে মদ্যপ যুবককে বাইরে বের করে বেধড়ক মারধর করেন এলাকার মানুষজন। গ্রামবাসীদের মারে মৃত্যু হয় সনাতনের।

জানা যায়, সনাতন প্রথমে তাঁর বাড়িতে নিজের বৌদিকে মারধর করার পর নবালিকার বাড়িতে চড়াও হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জামবনী থানার পুলিশ। দুই নাবালিকা সহ অভিযুক্ত যুবকের বৌদিকে উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম গর্ভমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। দুই নাবালিকার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনায় জামবনী থানার পুলিশ মুড়াকাটি গ্রামের বাসিন্দা আদিত্য দিগার নামে এক জনকে গ্রেফতার করে।

ঝাড়গ্রামের এসডিপিও শামিম বিশ্বাস বলেন, “একজন মদ্যপ যুবক কুড়ুল নিয়ে এক জনের বাড়িতে ঢুকে তান্ডব চালায়। পরে গ্রামবাসীদের মারে অভিযুক্ত যুবকের মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *