আমাদের ভারত, ৫ মে: রাজ্যে বসবাসকারী পাকিস্তানিদের চিহ্নিত করে দ্রুত তাদের দেশে পাঠানোর দাবিতে বাঁকুড়ায় জেলা শাসকের দপ্তর ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ঘোষণা করেন, জমি- বাড়ি বিক্রি করলে শুধু সনাতনীদের করতে হবে। বাড়ি ভাড়া দিতে গেলেও সেটা সনাতনীদেরই দিন। যদিও তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে আলোচনা শুরু হয়েছে। কিন্তু সৌমিত্র তাঁর নিজের অবস্থানে অনড়।
বাঁকুড়া জেলাশাসকের দপ্তরে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সৌমিত্র খাঁ বলেন, সনাতনী না হলে জমি বা বাড়ি বিক্রি করবেন না। সনাতনী না হলে তাকে বাড়ি ভাড়াও দেবেন না। তাঁর কথায়, এ রাজ্যের অনেকে এখনো পরিস্থিতি বুঝতে পারছেন না। আপনি বাড়ি বানিয়ে হয়তো ভাবছেন সারা জীবন সে বাড়িতে থাকবেন। কিন্তু আপনি তা পারবেন না। আপনার ছেলে মেয়েরা বাইরের রাজ্যে কাজ করতে যাবে, সেই অবস্থায় আপনি মারা গেলে বাড়িটি দখল করে নেবে রোহিঙ্গারা। তাই আমার অনুরোধ, দয়া করে সনাতনি ছাড়া কাউকে জমি বিক্রি করবেন না। সনাতনী ছাড়া অন্যদের বাড়ি ভাড়া দেবেন না।
নিজের বক্তব্যের সমর্থনে তিনি আরো বলেন, কলকাতার ৯০%ঘর এভাবেই দখল হয়ে গিয়েছে। সেই ঘটনা যাতে বাঁকুড়াতে বা রাজ্যের অন্য কোথাও না হয় তার জন্য সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সনাতনী হিন্দু ছাড়া জমি- বিক্রি বা বাড়ি ভাড়া দেবেন না।
যদিও সৌমিত্র খাঁয়ের এই বক্তব্যের সমালোচনা করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, গণতান্ত্রিক দেশের একজন জনপ্রতিনিধি প্রকাশ্যে এই কথা বলতে পারেন না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এ দেশের ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে সাংসদের মন্তব্য করা উচিত।
এক্ষেত্রে সৌমিত্র পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলেন, সনাতনী হবার কারণে আমাদের ঘর ছাড়া করার নিদান দিলে, আমাদের এই ধরনের মন্তব্য করাটাও স্বাভাবিক।
রাজ্যে বসবাসকারী পাকিস্তানিদের চিহ্নিত করে তাদের দ্রুত দেশে পাঠানোর দাবিতে জেলা শাসকের দপ্তর ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সেখানেই সাংসদের এই মন্তব্য ঘিরে আলোচনা শুরু হয়েছে।