মিলন খামারিয়া, আমাদের ভারত, নদিয়া, ১৯ শে জুলাই: আজ নদিয়ার সুসন্তান কৃষিবিদ ও জাতীয়তাবাদী কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, সঙ্গীতকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের জন্মদিন উপলক্ষে ফল গবেষণা কেন্দ্র, মন্ডৌরিতে অনুষ্ঠিত হল ফল সংরক্ষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ শিবির “ঘরে করো, শিল্প গড়ো”। এই শিবিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম সাহা। উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প আধিকারিক অধ্যাপক দিলীপ কুমার মিশ্র ও অন্যান্য গবেষক, অধ্যাপকবৃন্দ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন অধ্যাপক ড: কল্যাণ চক্রবর্তী।
প্রশিক্ষণ নিতে যারা এসেছেন তারা মাতৃশক্তি। পারিবারিক আয় বাড়াতে তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন ফলের জ্যাম, জেলি, আচার, মোরোব্বা, স্কোয়াশ তৈরি করা শিখছেন।
অধ্যাপক গৌতম সাহা এদিন সভামঞ্চে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের জীবনী তুলে ধরেন এবং কৃষি সম্প্রসারণে তাঁর ভূমিকা ব্যাখ্যা করেন। ডি. এল. রায় যেমন নানান প্রতিবন্ধকতার মধ্যে কৃষি ও গ্রামোন্নয়নের কাজ করেছেন, আজকের দিনেও তা করে দেখাতে হবে৷ অধ্যাপক মিশ্র বলেন, ‘The Crops of Bengal’ গ্রন্থটি ডি. এল. রায়ের অনবদ্য সৃষ্টি। স্বাধীনতার এত আগে কৃষি বিষয়ে তাঁর প্রয়াস অনস্বীকার্য।
অধ্যাপক কল্যাণ চক্রবর্তী বলেন,”রবীন্দ্রনাথ এবং দ্বিজেন্দ্রলালের সমবেত প্রচেষ্টায় রবীন্দ্র জমিদারি এলাকায় যে কৃষি উন্নয়নের চেষ্টা একদা শুরু হয়েছিল, পরে সেটিই শ্রীনিকেতনের পল্লী উন্নয়নে রবীন্দ্র ভাবনার বীজ হিসাবে কাজ করেছিল।”
অধ্যাপক চক্রবর্তী আরও বলেন, ডি. এল. রায়কে বলা হত ‘দয়াল রায়’। কারণ তিনি দেশীয় প্রজাদের অন্যায় খাজনা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাতে ইংরেজ আমলে গরিব প্রজারা অর্থনৈতিক সুবিধা পেয়েছিলেন।