পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ১৯ জুন: আজ দুপুরে পাঁশকুড়ার সরকারি ফুলবাজার পরিদর্শনে আসেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক। পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক দিব্যা মরুগেশন, পাঁশকুড়া ফুলবাজার পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা তমলুকের মহকুমা শাসক দিব্যেন্দু মজুমদার, আহ্বায়ক জেলা উদ্দ্যান পালন দপ্তরের জেলা আধিকারিক অতনু গুপ্ত, সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক, বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতি, পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রমুখ।
জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাজি অতি সত্বর বন্ধ থাকা পাঁশকুড়া ফুলবাজারের হিমঘরটি চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দেন এবং রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির আধিকারিককে আগামীকাল বাজেট জমা দিতে বলেন। এছাড়াও লোডশেডিং সমস্যা সমাধানে একটি ইনভার্টার পাঁশকুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যানকে দিতে বলেন। সেই সঙ্গে উনি সাত দিনের মধ্যে ২০টি ইমারজেন্সি ল্যাম্প লাগানোর বন্দোবস্ত করবেন বলে জানান। নিলাম কেন্দ্র থেকে উভয় দিকের পিচ রাস্তা পর্যন্ত ঢালাই রাস্তা এবং বাজারের জঞ্জাল পরিষ্কারের নির্দেশ দেন বিডিওকে। এছাড়াও একটি মহিলা শৌচাগার সহ বর্তমান পুরুষ শৌচাগারটির সংস্কার সরকারিভাবে করে দেওয়া হবে বলে উনি কথা দেন। পাশাপাশি লকডাউনের সময় চুরি যাওয়া হিমঘরের মেশিনের যন্ত্রাংশ সাথে যুক্ত চোরেদের অবিলম্বে ধরতে পাঁশকুড়া থানার আধিকারিককে জেলা শাসক নির্দেশ দেন।
নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, ২০০১ সালে জেলার ফুলচাষিদের আন্দোলনের ফলে তৎকালীন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বাজারটি চালুর জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন দপ্তরের মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। ২০০৪ সালে সেই সময়কার বিভাগীয় মন্ত্রী শৈলেন সরকার বাজারটির উদ্বোধন করেন। এর কয়েক বছর পর বাজারটি নানা কারণে কার্যত বন্ধ হওয়ার সম্মুখীন হলে ২০১২ সালে ফের বাজারটি নবরূপে চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। হিমঘর চালু হয়। ইতিমধ্যে লকডাউনের সময় হিমঘরের বাইরের দিকের যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গেলে হিমঘর বন্ধ হয়ে যায়। অবিলম্বে হিমঘর চালু সহ বাজারটি পূর্ণাঙ্গ রূপে চালুর দাবিতে ফুলচাষি ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী, বিভাগীয় দপ্তরের মন্ত্রী, আধিকারিকদের কাছে দরবার করা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আজ জেলা শাসকের ঝটিকা সফর বলে জানা গেছে। স্বভাবতই পাঁশকুড়ার ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ীরা খুশি।