DM, Problem Solving and Public Relations programme, বুড়িশোল গ্রামে ‘সমস্যা সমাধান ও জনসংযোগ’ কর্মসূচি জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরীর

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩১ জানুয়ারি: জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী ব্লকের দারিদ্র অধ্যুষিত গ্রাম বুড়িশাল। বুধবার ‘সমস্যা সমাধান ও জনসংযোগ’ কর্মসূচির জন্য সেই বুড়িশোল গ্রামকেই বেছে নিয়েছিলেন জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী। বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ আদিবাসী তথা লোধা শবর ও ভূমিজ অধ্যুষিত শালবনীর বুড়িশোল গ্রামে পৌঁছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আর্থিক ও সামাজিক ভাবে পিছিয়ে থাকা এই গ্রামের বাসিন্দাদের নানা ‘সমস্যা’ সমাধানের বিষয়ে উদ্যোগী হন জেলাশাসক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক সুমন সৌরভ মহান্তি, বিডিও রোমান মণ্ডল, বিএমওএইচ কৌশিক মাজি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিংহ, জেলা পরিষদের সদস্য ঊষা কুন্ডু প্রমুখ।

এদিন মূলত বাসিন্দাদের আধার কার্ড ও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডর সমস্যার বিষয়গুলিই উঠে আসে জেলাশাসকের সামনে। গ্রামের বেশিরভাগ বাসিন্দাদের এখনো হয়নি আধার কার্ড। ফলে তাঁরা রেশন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন। একইসঙ্গে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না হওয়ায় চিকিৎসা ক্ষেত্রেও বঞ্চিত হচ্ছেন আর্থিক ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে থাকা এই গ্রামের বাসিন্দারা।

এদিকে, গ্রামের বেশিরভাগ শিশু থেকে বড়রাই ভুগছেন অপুষ্টিতে। তার উপরে খাদ্য ও স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় চরম দুর্দশার মুখে গ্রামের অসহায় পরিবারগুলি। একইসঙ্গে, পানীয় জল থেকে শুরু করে সরকারি প্রকল্পের বাড়ি থেকেও বঞ্চিত গ্রামের বেশিরভাগ পরিবার। অনেকেরই আবার কাস্ট সার্টিফিকেট বা জাতিগত শংসাপত্রও হয়নি। তারা এদিন জেলাশাসককে কাছে পেয়ে নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এই সমস্ত বিষয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন জেলাশাসক। খাদ্য আধিকারিক তথা ফুড ইন্সপেক্টরকে নির্দেশ দেন আধার কার্ড না থাকলেও যেন এই গ্রামের বাসিন্দারা রেশন থেকে বঞ্চিত না হন। স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রেও তিনি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বা বিএমওএইচ’কে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে দ্রুত এই সমস্যাগুলি মেটানোর বিষয়ে তিনি নির্দেশ দেন বিডিও রোমান মণ্ডলকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *